বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নয়। বাজেটের আগেই নীতীশের দলের দাবি খারিজ কেন্দ্রের। অখুশি জেডিইউ, শুরু রাজনৈতিক তরজা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, বাজেট পেশের আগে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। কানোয়ার যাত্রায় ‘নাম’ নির্দেশিকায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ। নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের উত্তাল সংসদ। সায়ন্তিকা-রেয়াতের শপথ ‘বেআইনি’। জরিমানার হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 21 জুলাই 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- পাশে অখিলেশ-অভিষেক, একুশের মঞ্চে কর্মীদের বার্তা মমতার
আরও শুনুন: 20 জুলাই 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- একুশের সমাবেশে বড় চমক, একমঞ্চে মমতা-অখিলেশ
বিস্তারিত খবর:
1. এনডিএ সরকারে যোগ দিলেও, আপাতত দাবি অধরাই রইল নীতীশ কুমারের। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি আপাতত খারিজ করে দিল কেন্দ্র। মোদি সরকারের যুক্তি, যে যে শর্তে অতীতে একাধিক রাজ্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে সেই শর্ত পূরণ করতে পারছে না বিহার।
এনডিএ সরকার গঠনের পরই বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবিতে সরব হয়েছে জোটসঙ্গী জেডিইউ। বাজেট পেশের আগেই তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে জেডিইউয়ের সাংসদ রামপ্রীত মণ্ডলের প্রশ্ন, বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের আছে কি না। তার উত্তরে লিখিতভাবে নির্মলার যুক্তি, “অতীতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল যে শর্তগুলির ভিত্তিতে একাধিক রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছে সেগুলি হল, পাহাড়ি এলাকা বা প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থান, কম জনঘনত্ব, আদিবাসীবহুল রাজ্য, সীমান্ত এলাকায় কৌশলগত অবস্থান, আর্থিক এবং পরিকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে পড়া, রাজ্যের কোষাগারের বেহাল অবস্থা। কিন্তু ২০১২ সালেই বিহারের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে আলোচনার সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিহার এর কোনও শর্তই পূরণ করছে না। কেন্দ্রের এই জবাবে রীতিমতো অখুশি জেডিইউ। নীতীশকে নিশানা বিরোধী দল আরজেডির। সব মিলিয়ে বিহারে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
2. মহামারির ভয়াবহতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। সংসদে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর দাবি, সরকারের সুচিন্তিত নীতির সুবাদে কোভিডের ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যে কোনও ধরনের আর্থিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় ছিল তার তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির গতির স্থিতাবস্থা নিয়েও আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারের অনুমান রাখা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ। নির্মলার দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে অন্তত ৮.২ শতাংশ। তাঁর মতে, আগামী অর্থবর্ষে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মুদ্রাস্ফীতির হারও। যদিও এই মুহূর্তে দেশের সব প্রান্তেই বাজারদর অগ্নিমূল্য। তবে সেসব উপেক্ষা করেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করলেন নির্মলা। চলতি অর্থবর্ষে খাদ্যসামগ্রীতে মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে মেনে নিলেও, খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে দাবি সরকারের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।