প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো ঘিরে তীব্র বিতর্ক। পুজোর জন্য মিলছে না কর্তৃপক্ষের অনুমতি। পুজো করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রবিবারও ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। আরাবুল ইসলামের বাড়ির অদূরে উদ্ধার বোমা। ধর্মতলায় অশান্তির জেরে নওশাদ-সহ ১৮ জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ নেই। গ্রেপ্তারির পর সাফাই কুন্তল ঘোষের। উঠল ১০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার প্রসঙ্গ। তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধানে ইডি।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সাক্ষী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত সরস্বতী পুজো হয়নি। এবার তা করার জন্যই অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজো করতে চেয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছিল এই ছাত্র সংগঠন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি মেলেনি। যা দেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা করে দিতে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুজোর অনুমতি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ডিরোজিয়ান পন্থায় বিশ্বাসী। তাই এখানে কোনও ধর্মাচার করা সম্ভব নয়। অনুমতি না দেওয়া নিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রেসিডেন্সির তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সম্পাদক অরিত্র মণ্ডল। তাঁর কথায়, “তারা কি সেক্যুলার ক্যাম্পাসের ধোঁয়াশার আড়ালে বাম সংঠনের চাপে নতিস্বীকার করেছেন?’ অন্যদিকে প্রেসিডেন্সির তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের ফেসবুক পেজে লেখা হয়, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো হবে, এর মধ্যে নেতিবাচক কোনো মতামত থাকতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতভাবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা সম্ভব নয়, এমনই জানিয়েছেন আমাদের ডিন অফ স্টুডেন্টস। অথরিটি স্পষ্টভাবে যে পয়েন্টটি তুলে ধরেছেন- প্রেসিডেন্সি সেক্যুলার ক্যাম্পাস।” তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ জানে না। তবে পুজো করতে যে তাঁরা বদ্ধপরিকর সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট করেই। ক্যাম্পাসে পুজোর অনুমতি না পেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই পুজো করা হবে বলেই জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
2. রবিবারও উত্তপ্ত ভাঙড়। এদিন সকালে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির অদূরে বোমা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৩ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। গত শুক্রবার রাত থেকে ভাঙড়ে গুলি চলাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। শনিবার ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। অভিযোগ, সেই সময় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করে আইএসএফ। ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধ হঠাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তারপর আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ কার্যত খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রবিবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফের ছড়ায় চাঞ্চল্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ের হাতিশালায় সভা এবং মিছিল করার কথা ছিল তৃণমূলের। তবে ভাঙড়ের অশান্তির পর মিছিল এবং সভা আপাতত তা স্থগিত রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ধর্মতলায় অশান্তির জেরে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।