বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বর্ণময় পদযাত্রায় উদযাপন শহরবাসীর। ওমিক্রন ঠেকাতে জোর জিনোম সিকোন্সিং-এ। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপুল কর্মসংস্থান, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর। ব্যাপক রদবদল বিজেপির রাজ্যকমিটিতে। ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ছে না মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেল বিল। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেতাব ভারতের। টানটান ম্যাচে পরাজিত পাকিস্তান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- নজির গড়ে বাংলায় সম্পূর্ণ ১০ কোটি ডোজ টিকাকরণ
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলার দুর্গাপুজোকে পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। বর্ণময় পদযাত্রায় গর্বের মুহূর্ত উদযাপন করল শহর। বুধবার শীতের নরম রোদ গায়ে মেখে যে মিছিল এগিয়ে এল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ধর্মতলার দিকে, সেখানে ছিল না কোনও সংগঠনের নাম। ছিল শুধু দুর্গাপুজোর প্রতি বাঙালির নিখাদ ভালোবাসা, আবেগ আর একরাশ গর্ব। আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজপথে পা রেখেছিলেন শয়ে শয়ে পুজোপ্রেমিক। সেই সঙ্গে পা মেলালেন পথচলতি সাধারণ মানুষও। কারও হাতে ছিল ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৈরি প্ল্যাকার্ড। কেউ হাতে ধরে আছেন মা দুগগার চালচিত্রের রেপ্লিকা। মিছিল গিয়ে পৌঁছায় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং-এ। শহরের কেন্দ্র তখন মুখরিত ঢাকের বোলে। সমবেত জয়োল্লাসের ভিতরই ধন্যবাদ জানানো হল ইউনেস্কোকে। সারা দুনিয়া সম্মান জানিয়েছে বাঙালির সংস্কৃতিকে, বাঙালি প্রত্যুত্তরে কৃতজ্ঞতা জানাল গোটা পৃথিবীকেই।
2. ভয় দেখাচ্ছে ওমিক্রন। সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। তাই কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার কোনও করোনা আক্রান্তের ভাইরাল লোড বা সিটি ভ্যালু ৩০-এর নিচে থাকলে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম দফায় ৩০-এর নিচে ভাইরাল লোড থাকা কলকাতার করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়িতে একইভাবে সিটি ভ্যালু ৩০-এর নিচে থাকা করোনা রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের মতে, তার কারণ প্রধানত দু’টি। এক, গোটা দেশজুড়ে করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রনে’র চোখরাঙানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বহু ভিন জেলা, এমনকী ভিন রাজ্য তথা দেশের বাসিন্দা প্রতিদিন কলকাতায় আসেন। তাই মহানগরীতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। দ্বিতীয়ত, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনার ‘ওমিক্রন’ স্ট্রেনে আক্রান্তরা বেশিরভাগই উপসর্গহীন। তাই ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের সংখ্যা যাতে হু হু করে বাড়তে না পারে, তাই এই নয়া পন্থা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্যেই দেশে মোট ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ২০০। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। তারপরই রয়েছে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান ও দিল্লি। তাই রাজ্যগুলিকে এখন থেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।