বাংলার মুকুটে নয়া পালক। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের বিচারে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ কিরীটেশ্বরী। দুবাই থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। অক্টোবরের শুরুতেই দিল্লিতে টানা প্রতিবাদে দল। কর্মসূচির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল শীর্ষ নেতৃত্ব। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিটে অনুমোদন রাজভবনের। সপ্তাহান্তে বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা, শুরু ২৩ সেপ্টেম্বর থেকেই। খলিস্তান বিতর্কে আরও কড়া ভারত। এশিয়ান গেমসে জয়ে ফিরল ভারত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলার মুকুটে নয়া পালক। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের বিচারে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর তকমা পেল মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী। খবর পেতেই দুবাই থেকে X হ্যান্ডলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রাজ্যে লগ্নি টানার লক্ষ্যে স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে দুবাইতে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার X হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম প্রতিযোগিতা’ হয়েছিল। সেখানেই কিরীটেশ্বরীকে নির্বাচন করা হয়েছে৷ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।” ৫১ পীঠের এক পীঠ মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দির। প্রতিদিন অগণিত পুণ্যার্থী ভিড় জমান এই মন্দিরে৷ সেই গ্রামটিই এবার জিতে নিল কেন্দ্র সরকারের সম্মান। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
2. বাংলার প্রাপ্য আদায়ের লক্ষ্যে এবার প্রতিবাদের জোর আরও বাড়াচ্ছে তৃণমূল। অক্টোবরের গোড়াতেই দিল্লির দরবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করছে রাজ্যের শাসকদল। এবার সেই কর্মসূচির চূড়ান্ত পরিকল্পনা ছকে দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের তরফে যাঁরা দিল্লির বিক্ষোভে শামিল হবে, নেতৃত্বের নির্দেশমতোই তাঁদের যোগ দিতে হবে ১, ২ ও ৩ অক্টোবরের কর্মসূচিতে। জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবরই দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের নেতাদের দিল্লি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ অক্টোবর, গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গান্ধীজির ছবি রেখে শ্রদ্ধা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দিল্লির কর্মসূচি স্ক্রিনে দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করে ধরনায় বসার ভাবনা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। এরপর ৩ অক্টোবর রাজ্য থেকে সংগৃহীত ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে যন্তরমন্তর থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন পর্যন্ত যাবেন তৃণমূল নেতারা। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের থাকার জন্য রামলীলা ময়দানে তাঁবু তৈরির অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। ২৩ তারিখ পর্যন্ত সেই অনুমতি না মিললে আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। জাতীয় স্তরে চব্বিশের লড়াইয়ে এই কর্মসূচি কাজে লাগাতে পারবে তৃণমূল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।