ইলেক্টোরাল বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ কমিশনের। প্রকাশ্যে দাতা গ্রহীতার যাবতীয় সব তথ্যই। হোয়াটসঅ্যাপে মোদির বার্তায় আপত্তি কমিশনের। পাঠানো যাবে না ‘বিকশিত ভারতে’র মেসেজ। কেন্দ্রের ‘ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট’-এ সুপ্রিম স্থগিতাদেশ।CAA আতঙ্কে ‘আত্মহত্যা’ বাংলার যুবকের । গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব। আইপিএল শুরুর আগেই চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব ছাড়লেন ক্যাপ্টেন কুল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- CAA মামলায় কেন্দ্রকে নোটিস, ডেডলাইন বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত
বিস্তারিত খবর:
1. নির্বাচন কমিশনকে ইলেক্টোরাল বন্ডের সমস্ত তথ্য জমা দিল এসবিআই। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক সংখ্যাও। সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জমা পড়ল বন্ডের যাবতীয় তথ্য, হলফনামা দিয়ে জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আদালতের নির্দেশের পর গত ১২ মার্চ নির্বাচনী বন্ডের তথ্য কমিশনকে জমা দিয়েছিল এসবিআই। যে তথ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। কিন্তু বন্ডের ক্রেতা এবং প্রাপক দলের লম্বা তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশও করে দেওয়া হলেও সেখানে ছিল না বন্ডের নম্বর। যা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, অসম্পূর্ণ তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন সব তথ্য এসবিআই প্রকাশ করছে না, এ নিয়ে সুপ্রিম তোপের মুখে পড়েছিল ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কটির ‘দায়সারা মনোভাবের’ সমালোচনা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার বন্ডের সব তথ্য কমিশনকে জমা দিল এসবিআই। আসন্ন লোকসভা ভোটে এই বন্ড-তথ্যের কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলেও।
2. আর পাঠানো যাবে না ‘বিকশিত ভারতে’র মেসেজ। কেন্দ্রের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেও হোয়াটসঅ্যাপে বিকশিত ভারতের মেসেজ পাঠানো নিয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। সরকারি অর্থে ভোটপ্রচার করেছেন নরেন্দ্র মোদি, এই মর্মে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় নির্বাচন কমিশনে। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা দিয়ে কমিশন জানিয়ে দিল, এই মেসেজ পাঠানো বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। নির্দেশ কার্যকরের পরে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনের কাছে। তবে কেন্দ্রের সাফাই, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগেই এই মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সকলের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে হয়তো কয়েকজনের কাছে বার্তা পৌঁছতে দেরি হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রের ‘ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট’-এ জারি সুপ্রিম স্থগিতাদেশ। বম্বে কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রা এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, বিষয়টির সঙ্গে নাগরিকের বাকস্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত। একইসঙ্গে এফসিইউ নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে রোহিঙ্গা ‘দায়’ ঝেড়ে ফেলল কেন্দ্র। দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, হলফনামা দিয়ে জানাল মোদি সরকার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।