সন্দীপ ঘোষের আমলে দুর্নীতির অভিযোগ। ইডি তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে প্রাক্তন সহকর্মী। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুপ্রিম নির্দেশে আর জি করের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ল সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো বোনাস। বাতিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জোড়া প্রতিবাদ কর্মসূচি। ২ শিশুর যৌন নিগ্রহে তপ্ত মহারাষ্ট্রের বদলাপুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. সন্দীপ ঘোষের আমলে আর জি করে দেদার দুর্নীতির অভিযোগে এবার ইডি তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন, তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসার পর থেকেই দেদার দুর্নীতি করেছেন সন্দীপ। এই অভিযোগ তুলে ইডি তদন্ত চেয়ে বুধবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এসজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। তিনিও মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে ‘সিট’ গঠন করা হয়েছে। তাঁকে তলব করেছে লালবাজারও। তবে, আখতার আলির দাবি, রাজ্যের সিট নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে না। বরং সন্দীপকে বাঁচাতেই এই সিট তৈরি হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীর। তাঁর দাবি, সন্দীপবাবু দায়িত্বে আসার পর থেকেই দুর্নীতি শুরু করেছেন। টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করাতেন। টাকা না দিলে অনুগত কয়েকজনকে দিয়ে চাপ তৈরি করা হত। এমনকী হাসপাতালে ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ ও অন্যান্য বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বাইরে পাচার করেছেন সন্দীপ। তাঁর বকতব্য, ২ বছর আগেই এই দুর্নীতি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। উলটে তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই দাবি। এই সমস্ত অভিযোগ করে ইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আখতার আলি। এই পরিস্থিতিতে সন্দীপ ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তায় যেন কোনো ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।
2. স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। ফলত আন্দোলনে অনড় থাকারই সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন চিকিৎসকেরা। শুরুতেই ছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছে স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হাতে স্মারকলিপি জমা দিতে চান। এর পর মিছিলকারীদের মধ্যে থাকা ৩০-৩৫ জন স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ‘হতাশ’ গোপন করেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তরফে জানানো হয়, “বৃহস্পতিবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী জানায়, তার পরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দাবি, ঘটনার রাতে থাকা অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিনকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করাতে হবে। তাঁদের যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও পদে না রাখা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” তবে স্বাস্থ্যভবন যে প্রশাসনিক চাপে অসহায় এ কথাও বলেন তাঁরা। আর তাই ঘটনার রাতে যাঁরা পদে ছিলেন, তাঁদের অপসারণের দাবিতে এককাট্টা আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করলেও, তাঁদের আন্দোলন যে চালিয়ে যাবেন, সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।