রাজ্যে ফের বাড়ল ইমাম, পুরোহিতদের ভাতা। দীর্ঘদিনের দাবি মেনেই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। পয়লা বৈশাখে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সুপারিশ কমিটির। যাদবপুর কাণ্ডে ফের বামদের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। পালটা তৃণমূলের উপর দায় চাপাল বামেরা। যাদবপুরে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা। রাজ্যের মামলায় পার্টি করার নির্দেশ রাজ্যপালকে। দল ঘোষণা হল এশিয়া কাপের। প্রথমবার নির্বাচন কমিটির বৈঠকে হাজির টিম ইন্ডিয়ার কোচ। সহ অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বারবার বয়ান বদল অভিযুক্তদের, যাদবপুর কাণ্ডে জেরা খোদ সিপি-র
বিস্তারিত খবর:
1. দাবি মেনেই রাজ্যে ফের বাড়ল ইমাম ও মোয়াজ্জেম ভাতা। একইসঙ্গে পুরোহিতদের ভাতা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’ক্ষেত্রেই ৫০০ টাকা ভাতাবৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরই ইমাম-মোয়াজ্জেমদের জন্য বোর্ড গঠন করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। চালু হয়েছিল ভাতাও। তবে এত বছর পরেও আর ভাতা বাড়েনি, যদিও দ্রব্যমূল্য বেড়েছে অনেকটাই। এই যুক্তিতেই বারবার ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যের অর্থকষ্টের কথা স্বীকার করেও ভাতাবৃদ্ধির ঘোষণা করলেন তিনি। তদিন ইমামরা মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। সেই পরিমাণ বেড়ে হল ৩ হাজার টাকা। আর মোয়াজ্জেমরা পেতেন মাসে ১ হাজার টাকা। সেটা বেড়ে হল ১৫০০ টাকা। এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। রাজ্যের শান্তি নষ্ট করতে বিজেপি অশান্তি বাধাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য ইমামদের আরজি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বিজেপির পছন্দের ২০ জুনের বদলে এবার ১ বৈশাখে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সুপারিশ করল পশ্চিমবঙ্গ দিবস কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই নির্দিষ্ট হতে পারে এই দিনটি।
2. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ফের বামেদের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছাত্রমৃত্যুর দায় বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনের উপরই চাপালেন তিনি। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই যাদবপুর কাণ্ডে সরব হয়ে মমতার দাবি, “যাদবপুরকে আমরা সম্মান করতাম। এখনও করি। কিন্তু দেখুন ওখানে একটা ছাত্রকে মেরে ফেলল সিপিএমের ইউনিয়ন।” তাঁর আরও কটাক্ষ, “বছরের পর বছর ধরে রক্ত নিয়ে খেলেও এদের শান্তি হল না।” এর আগেও মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এই ইস্যুতে নিশানা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কেই। এবারও ঘটনায় সিপিএম-এর বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানালেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবির পালটা দিয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূলের মদতপুষ্ট সংগঠনের ছেলেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পালটা তোপ দেগেছেন বাম নেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।