রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে নন, স্পষ্ট বার্তা মমতার। মুর্শিদাবাদ অশান্তিতে ক্ষোভ কার্তিক মহারাজের ভূমিকায়। পঞ্চম দফার ভোটে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত কেন্দ্রে ভোটের হার গড়ে ৭৩ শতাংশ। কেন্দ্রকে সাহায্যে আরও উদার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী অর্থবর্ষে দেওয়া হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা। কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সন্ন্যাসীদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে মমতার মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির
আরও শুনুন: 18 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যের সব শিক্ষককেই প্রমাণ দিতে হবে যোগ্যতার, নির্দেশ শিক্ষাদপ্তরের
বিস্তারিত খবর:
1. রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে যে তিনি নন, সোমবার স্পষ্ট করে সে কথা জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের মাঝে সাধুদের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ইতিমধ্যে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিন সেই প্রসঙ্গেই নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করলেন মমতা। বাঁকুড়ার নির্বাচনী সভা থেকে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”আমি রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramakrishna Mission)বিরুদ্ধে নই। কেনই বা হব? কেন একটা প্রতিষ্ঠানকে শুধু শুধু অপমান করব? গঙ্গাসাগরে যে ভারত সেবাশ্রম আছে, সেখানে আমি যাই। ওঁরা আমাকে খুব ভালোবাসে, যত্ন করে, ওরা দেশের জন্য খুব কাজ করে।’ তবে এদিন মমতা নিশানা করেন কার্তিক মহারাজকে। বলেন, ‘আমি একটি লোকের নাম করে কথা বলেছি, কার্তিক মহারাজ। তিনি ভোটের সময় আমাদের এজেন্টকে বুথে বসতে দেননি।’ মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক অশান্তির সময় তাঁর ভূমিকা তুলে ধরে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”উনি ওখানে ধর্মের নামে বিজেপির প্রচার করে বেড়ান। আমি বলি, আপনি বিজেপি করুন। কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে করুন। আড়াল থেকে নয়।” তাঁর বক্তব্য যে মূলত কার্তিক মহারাজকে লক্ষ্য করেই ছিল, এদিন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিকে রবিবার গভীর রাতে জলাপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি ভবনে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তবে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে যে তিনি নন, তা এদিন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
2. লোকসভার পঞ্চম দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ল বাংলায়। এদিন দুপুরে টিটাগড়ের কাছে মণ্ডলপাড়ায় বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। কৌস্তভের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। টিটাগড়ে অর্জুন সিংকে ঘিরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। কালো পতাকা দেখানো হয় নেতাকে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান বিজেপি প্রার্থী, তেড়ে যান বিক্ষোভকারীদের দিকে। এদিকে হাওড়ার বেলুড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এক আবাসনে বোমাবাজিকেকেন্দ্র করে। অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের তরফেই ভোট নিয়ে আবাসিকদের চাপ দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে বুথমুখী হননি তাঁরা। হাওড়ার ডোমজুড়ে শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। হুগলিতে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের বাড়ির সামনে মহিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তারা কাজ করছে না। এদিকে ভোটার তালিকায় ‘ত্রুটি’ থাকার দরুন হাওড়ায় ভোটই দিতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সব মিলিয়ে এদিনবিক্ষিপ্ত অসান্তিরই সাকশী থাকল বাংলা। তবে ভোটদানের হারও বেশ উল্লেখ করার মতোই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যের সাত কেন্দ্রে ভোটের হার গড়ে ৭৩ শতাংশ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের ভোটেও বড় কোনও অশান্তির খবর নেই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।