ইডির তলবে দিল্লি পাড়ি অভিষেকের। ‘মাথা নত করব না, দরকারে সুপ্রিম কোর্টে যাব’। চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। সরকারি স্কুলে নীল-সাদা পোশাকে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। লোগো থাকবে ব্যাগের উপরেও। নির্দেশিকা সমগ্র শিক্ষা মিশনের। পয়লা বৈশাখেই খুলতে পারে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। অপেক্ষা সেফটি কমিশনারের রিপোর্টের। বাড়তে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবার সময়। ভারতে ডিজেলের দাম বাড়ল লিটার পিছু ২৫ টাকা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সভাপতি পদের আশা ছাড়ুুন রাহুল, দাবি বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের
আরও শুনুন: 18 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দোলের দিনে শুটআউট কলকাতায়, রিজেন্ট পার্কে মৃত্যু যুবকের
বিস্তারিত খবর:
1. রবিবার দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দপ্তরে হাজিরা দেবেন তিনি। তবে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “লড়াই চলবে। শেষ দেখে ছাড়ব। আমি মাথা নত করব না।”
দিল্লিতে ইডির দপ্তরে নয়, তদন্তের স্বার্থে কলকাতার দপ্তরে ডাকা হোক সস্ত্রীক ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। এই আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। রায় ঘোষণার পরই ফের সাংসদকে নোটিস পাঠায় ইডি। এ প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “গত ৪ মাস ধরে আদালতে শুনানি চলছিল। ১০ তারিখ ৫ রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিচারবিভাগের উপর ভরসা রেখেই বলছি, ১১ তারিখ আদালতে আমার আরজি খারিজ হয়ে যায়। এ নিয়ে আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব।”
কয়েকদিন আগেই সাংসদের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। তার পরেও এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক। বললেন, “চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে বললেও আমি যাচ্ছি আজ।” বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বাংলায় হেরে গায়ে জ্বালা ধরেছে বিজেপির। তাই বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে। অথচ যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, যাদের নামে অভিযোগ রয়েছে, তাদের ডাকা হচ্ছে না। এ জন্যই ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।”
এদিকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে দিল্লির ৩ জন ইডি অফিসারকে এবার তলব করল কালীঘাট থানা। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁদের হাজিরা দিতে হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেদিন দিল্লির ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে, ঠিক সেইদিনই ইডি অফিসারদের কালীঘাট থানায় তলব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
2. রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে একই রঙের পোশাক– নীল ও সাদা, তাতে থাকবে ব্র্যান্ড ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছের কথা মাথায় রেখে এবার শুরু হল প্রস্তুতি। এ নিয়ে রবিবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি তৈরি করবে এই পোশাক। সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সরবরাহ করা হবে এসব পোশাক, এমনই জানানো হয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে। আগের মতই পড়ুয়ারা পাবে স্কুলব্যাগ এবং জুতো। প্রত্যেকটি ব্যাগের উপরও থাকবে সরকারি লোগো।
বর্তমান নিয়মে স্কুলগুলি তাদের পছন্দমতো কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে পোশাকের বরাত দেয়। সেই পোশাকের গুণমান নিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে। সরকারের ধার্য করা দাম এবং পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছনো পোশাকের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে না বলে অভিযোগ। অনেক সময় ছেলেমেয়েদের থেকে পোশাকের দাম নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দপ্তর এবার পোশাক তৈরি করবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো চলতি মাসের শুরুতে মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় এমএসএমই দপ্তর পোশাকের পাশাপাশি জুতো এবং স্কুল ব্যাগও পাঠাবে। উল্লেখ্য, এই তিনটি সামগ্রী বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীরা পায়। এই পরিষেবায় পোশাকের রং এবং লোগো নতুন সংযোজন। স্কুল শিক্ষাদপ্তর জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের সাদা রঙের একটি হাফ ও একটি ফুলপ্যান্ট দেওয়া হবে। তারা পাবে নীল রঙের একটি হাফ ও একটি ফুল শার্ট। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে সাদা শার্ট ও নীল টিউনিক ফ্রক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা পাবে শার্ট ও স্কার্ট। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে নীল-সাদা সালোয়ার কামিজ ও দুটি করে ওড়না। পোশাকের পকেটের কাছে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। তবে স্কুলের নাম এবং লোগো না থাকার কারণে নির্দিষ্ট পড়ুয়া কোন স্কুলে পড়ে, তা বুঝতে সমস্যা হবে বলে মত শিক্ষামহলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।