শিক্ষকদের যোগ্যতা জানানো হোক অভিভাবকদের। ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে তথ্য দিতে নির্দেশ হাই কোর্টের। ভোটের জন্য স্কুলের ক্ষতি হচ্ছে, মত আদালতের। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে আমলা-পুলিশ। সরকারি দপ্তরে বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়েও ক্ষুব্ধ মমতা। রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন রাজভবনে। পাটনা হাই কোর্টে বড় ধাক্কা নীতীশের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 জুন 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মালগাড়ির মৃত চালকের বিরুদ্ধেই FIR
বিস্তারিত খবর:
1. স্কুল শিক্ষকদের আদৌ পড়ানোর যোগ্যতা রয়েছে কি না, তা জানার অধিকার রয়েছে অভিভাবকদেরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের অধীনস্থ সমস্ত স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টালে’ আপলোড করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর বক্তব্য, অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই। অথচ তারা স্কুলে নিযুক্ত। সে কারণেই এই পদক্ষেপ। যদিও রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জোগাড় করতে আরও দুমাস সময় দিতে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। এদিন আদালতের হাতে হুগলি, বীরভূম আর নদিয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন তিনি। তবে “রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত ধীর কেন?” প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলে রাজ্যের স্কুলগুলির পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। নির্বাচনের জন্য কেন আলাদা ভবন বানানো হচ্ছে না, প্রশ্ন তাঁর। গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা মিডডে মিল পাচ্ছে না বলেও ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
2. সরকারি জমি ‘বেহাত’ হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্যের আমলা-পুলিশরা। পাশাপাশিই, বিদ্যুৎ এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাজ নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেয়াত করেননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সমস্ত পুরনিগমের মেয়র, সমস্ত দপ্তরের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জেলাশাসক এবং পুলিশকর্তাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, সেখানেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্তাদের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কী ভাবে সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে? পুলিশ কেন বিষয়টি দেখছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সরকার কোনও দুর্নীতির ভাগিদার হবে না, লোকসভার পরেই সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, শহরে তৃণমূলের জনসমর্থন কমেছে। এরপর এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিমের হাতে থাকা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় অরূপ বিশ্বাসের বিদ্যুৎ দপ্তরও। সরকারি দপ্তরের অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, বিদ্যুতের বিল কমাতে হবে। দপ্তরের এসি ২৬ ডিগ্রির উপরে চালানো যাবে না। প্রয়োজনে সরকারি প্রতিটি ভবনের মাথায় সোলার প্যানেল বসাতে হবে। বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের ভর্ৎসনা করে ভালো করে কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।