কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে পঞ্চায়েত ভোট। হাই কোর্টের রায়েই সায় সুপ্রিম কোর্টের। প্রতি জেলায় থাকবে ১ কোম্পানি বাহিনী, সিদ্ধান্ত কমিশনের। মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উপেক্ষা করেই রাজভবনে পালন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। মানুষের সঙ্গে রাজনীতির খেলা খেলছেন রাজ্যপাল, কড়া সমালোচনা মমতার। হাই কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের। ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাটে নিরাপত্তায় ব্যর্থ পুলিশ, পর্যবেক্ষণ আদালতের। নওশাদ সিদ্দিকির নিরাপত্তায় মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়কের আরজি মেনে কেন্দ্রকে নির্দেশ আদালতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ভোটে অশান্তির অভিযোগ নিজেই দেখবেন রাজ্যপাল, রাজভবনে চালু ‘পিস রুম’
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রইল সুপ্রিম কোর্টেও। নির্বাচন মানেই হিংসার লাইসেন্স নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মনোনয়ন পর্বের মধ্যেই রাজ্যের কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, রাজ্যের কাছে আদৌ পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কমিশনের দাবি, এই নির্দেশ মতো স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরির আগেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নতুন নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে এই তথ্য জানিয়ে কমিশনের সওয়াল, প্রস্তুতির আগেই হাই কোর্টের নির্দেশ দেখে মনে হয়েছে, রাজ্যের পুলিশ যেন পর্যাপ্ত নয়। অথচ পাঁচ রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হচ্ছে। আর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, রাজ্য ও কমিশনের কথাতেই স্পষ্ট যে বাহিনী পর্যাপ্ত নয়। অন্য রাজ্য থেকে যদি বাহিনী আনা হয়, তাহলে কেন্দ্রের বাহিনীতে আপত্তি কেন, প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। ২০১৩, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাস দেখেই হাই কোর্ট এই রায় দিয়েছে বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করছে না সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরই জরুরি বৈঠকে কমিশনের সিদ্ধান্ত, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কমিশন সূত্রের খবর, সেইমতোই আরজি জানানো হবে কেন্দ্রের কাছে।
2. মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও মহাসমারোহে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা হল রাজভবনে। তাতে অংশ নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির প্রায় সমস্ত রাজ্যস্তরের নেতারাই। বঙ্গবাসীকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবসে’র শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তাও পড়ে শোনান তিনি। এই দিবস পালন নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালকে দিনটি পালন না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যে দিনের সঙ্গে দেশভাগের যন্ত্রণা জড়িয়ে, ধর্মের ভিত্তিতে যে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, সেই দিনটি গৌরব বা আনন্দের নয়। বাঙালিদের কাছে এই দিন আসলে দুঃখের, এমনটাই মত শাসক শিবিরের। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ গ্রাহ্য করেনি রাজভবন। এদিন তাই পালটা তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এসব পালন করা হচ্ছে। বাংলাকে অপমান করতে, অসম্মান করতেই বিজেপি এসব করছে। বাংলার মানুষের সঙ্গে রাজনীতির খেলা খেলা হচ্ছে।” রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সাফ কথা, বাংলায় অশান্তির কোনও জায়গা নেই। হিংসা এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েই চলতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত ভোটিকে মাথায় রেখেই রাজ্যের উদ্দেশে এমন বার্তা রাজ্যপালের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।