তৈরি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ। প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখলেন মমতা। অশান্ত মণিপুরে যান INDIA জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা। ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই ইচ্ছে প্রকাশ তৃণমূল সুপ্রিমোর। মণিপুরের নারী নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। অবশেষে মণিপুর হিংসা নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী। আদালতের নির্দেশে বিপাকে শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের বিরুদ্ধেও FIR করতে চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে জামিন দিল আদালত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজেপিকে টক্কর দিতে তৈরি বিরোধী জোট INDIA, ‘নেতৃত্বে’ মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. রাত পোহালেই জনসভা। ঠিক তার আগের দিন ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রতি বছরই একুশের আগের দিন সন্ধ্যায় নিজে গিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তৃণমূল নেত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। অন্যদিকে এবছর পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্য উদযাপন হবে একুশের মঞ্চেই। তাই সভায় রেকর্ড ভিড় হওয়ার আশা ঘাসফুল শিবিরের। তবে এসবের মাঝেও অশান্তি মণিপুরের দিকে বরাবর নজর রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতিহিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরে যেতে চেয়েও পারেননি। মেলেনি অনুমতি। কিন্তু উত্তর-পূর্বের রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষজনের পাশে থাকতে ফের মণিপুরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি মঞ্চ থেকে সে কথাই জানালেন তিনি। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী একা নন, বিরোধী INDIA জোটের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীও মণিপুরে যাবেন, এমনটাই চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া এদিন ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষ। পাশাপাশি প্রস্তুতি মঞ্চের পাশে আজ পারফর্ম করে ‘জয়ী’ ব্যান্ড। সব মিলিয়ে ঐতিহাসিক সমাবেশ ঘিরে রীতিমতো সাজো সাজো রব তৃণমূল শিবিরে।
2. বিগত কয়েক মাস ধরে জাতিহিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। বুধবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে আরও তপ্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। সেই ভিডিও দেখেই এবার দুঃখ প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে’ বলে টুইট করেন তিনি। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এলাকার সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ, গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন তাঁরা। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। টুইটার-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র কড়া নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই যেন ওই ভিডিও নতুন করে শেয়ার না করা হয়। অভিযোগের আঙুল মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে। বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। যদিও পুলিশের দাবি, ভিডিওটি পুরনো। এই ভিডিও দেখেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, “ভয়ংকর ভিডিও! দুই মহিলাকে নিয়ে উন্মত্ত জনতার এই অমানবিক আচরণ! এমন দৃশ্য দেখে বলার মতো শব্দ নেই। আমাদের উচিত, একজোট হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা। নির্যাতিতাদের বিচার পাইয়ে দেওয়া।” এদিন ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সেখানে আশ্রয় শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, মণিপুরের অশান্তি নিয়ে সে রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেছেন। পাশাপাশি এই ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্টও। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার না পারলে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যবস্থা নেবে শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হবে। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।