রাজ্যে শুরু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই বড় বিনিয়োগের ঘোষণা আদানি ও হিরা নন্দানি গ্রুপের।রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসায় রাজ্যপাল। ‘শিল্পতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা বিরক্ত না করে’। রাজ্যপালের কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর। সুপ্রিম স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও উচ্ছেদ অভিযান দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয় অবৈধ নির্মাণ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১। বুধবার রাজ্যে শুরু হল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। উপস্থিত ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধি। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় শিল্প বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে তুলে ধরে তিনি জানান, বাংলার অগ্রগতি ৮টি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল। পরিকাঠামো তৈরি, পরিকাঠামোর প্রসার, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস বা ব্যবসা চালানোর সুবিধা, ডিজিটালাইজেশন এবং কর্মদিবস নষ্ট না-করা – এই আটটি স্তম্ভের উল্লেখ করে রাজ্যের সার্বিক চিত্রটি শিল্পপতিদের সামনে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আদানি, জিন্দল, টাটা, হিরা নন্দানি, গোয়েঙ্কা-সহ একাধিক গোষ্ঠীর শিল্পপতিরা এদিন হাজির ছিলেন সম্মেলন মঞ্চে। রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যায় তাঁদের মধ্যে। রাজ্যে ৭০০ একর জমিতে তৈরি মায়াপুরের মন্দির দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মপদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি জানিয়েছেন, বাংলায় শিল্পের উন্নতিতে অংশ নেবে আদানি গ্রুপ। বাংলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব তাঁর। এতে অন্তত ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি ডেটা সেন্টারের ক্ষেত্রে হিরা নন্দানি গ্রুপও দেড় হাজার কোটির বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। উদ্বোধন মঞ্চেই বড় বিনিয়োগের ঘোষণা জানিয়ে দিচ্ছে, প্রথম দিনেই বাণিজ্য সম্মেলন তার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছেছে।
২। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, “বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা আগামিকাল ভাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলা। বাংলা পূর্ব ভারতের ইকনমিক হাব। মানব সম্পদেও এগিয়ে বাংলা। আশা করি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার হাত ধরে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হবে।” সঙ্গে এও বলেন, উন্নয়ন এবং রাজনীতি আলাদা হওয়া উচিত। এদিন শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সহযোগিতার পক্ষেও সওয়াল করলেন ধনকড়। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র-রাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে বাংলা। প্রধানমন্ত্রীও বাংলার প্রশংসা করেছেন। লুক ইস্ট নীতি নিয়েছে কেন্দ্র।” রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত মাঝেমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। তবে এদিন বিশ্বের তাবড় শিল্পপতিদের সামনে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, বাংলার উন্নতিই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথা জানাতেও এদিন দ্বিধা করেননি তিনি। পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছেও একটি আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের থেকে সমস্ত সাহায্য চাই। শিল্পপতিদের যেন এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা না হয়।” রাজ্যপালকে এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করার আরজিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।