ডিসেম্বরে অশান্ত হতে পারে রাজ্য। আশঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রীদের সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। খেলা-মেলায় খরচ কমিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে জোর মমতার। গুজরাটের সেতু বিপর্যয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার। দোষীদের শাস্তি চেয়ে দাবি বিচারবিভাগীয় তদন্তের। বগটুই কাণ্ডে বড় সাফল্য সিবিআই-এর। গ্রেপ্তার ভাদু শেখ খুনে মূল অভিযুক্ত পলাশ শেখ। ফের কাঠগড়ায় মানিক ভট্টাচার্য। বিশ্বকাপে গ্রুপ ২-তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রোহিতরা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. নভেম্বর-ডিসেম্বরে অশান্তি হতে পারে রাজ্যে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে মন্ত্রীদের সতর্কও করলেন তিনি। ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ইঙ্গিত দিয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতানেত্রী। দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার সকলেই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে এ-কথা বলেছেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকেই উঠে এল সেই আশঙ্কার কথা। তিনি জানান, নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে রাজ্যে অশান্তি হতে পারে। এই আশঙ্কায় সকলকে সাবধান করেছেন তিনি। এছাড়াও নতুন মন্ত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, কোনও সিদ্ধান্ত একা নিতে পারবেন না তাঁরা। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আগে জানাতে হবে। ভাবনাচিন্তা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বঙ্গ বিজেপির ডিসেম্বর নিয়ে বারংবার হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে,মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ডিসেম্বরে অশান্তির আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, এবার থেকে ভাতার পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন বিধবারাও। এই বৈঠকেই মমতা আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, খেলা-মেলার খরচ কমিয়ে সেই টাকায় ১০০ দিনের কাজ করাতে হবে।
2. পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ে সে পথে হাঁটলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন মৃত্যু নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি করতে চান না তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে কোনওরকম দোষারোপ করতেও নারাজ তিনি। বরং ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তেরই দাবি তাঁর। গুজরাট প্রসঙ্গে তিনি দিলেন,”মোরবির দুর্ঘটনায় অনেকগুলি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এটা নিয়ে রাজনীতি করব না।” মানবিকতার দৃষ্টিতেই এই ঘটনাকে দেখা উচিত বলে অভিমত তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যের ঘটনা হলেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “এই ধরনের দুর্ঘটনা সব রাজ্যেই ঘটে। এতে সরকারের কিছু করার থাকে না। তবে সব সেতুর আরও বেশি বেশি অডিট হওয়া উচিত। যারা এত মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।” মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি, এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কমিটি গড়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি। অবশ্য গুজরাট সরকারকে সামান্য খোঁচাও দিয়েছেন মমতা। বলে দিয়েছেন, “ওখানকার সরকার ভোট নিয়ে ব্যস্ত। তাই আহতদের এবং যাদের পরিবারের মানুষ মারা গিয়েছেন, তাঁদের ঠিকমতো সাহায্য করতে পারেনি।” একই সঙ্গে গুজরাটে পড়শি দেশের অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে মমতা জানান, “গুজরাটের এই মডেল বাংলায় নয়। গুজরাটে ভোট বলেই এসব করেছে। আমরা এখানে সবাই নাগরিক। এটা কার্যকর করতে দেব না।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।