গরমের ছুটিতে ক্ষতি পড়ুয়াদের পড়াশোনার। হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির। মামলার শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তিতে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উদযাপনেও নষ্ট নয় কর্মদিবস। জোর জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নেও। পৃথক রাজনৈতিক দল খুললেন প্রশান্ত কিশোর। বিহার থেকেই শুরু হল নয়া দল জনসূরয-এর যাত্রা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উন্নাওয়ে নার্সকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথকে তোপ তৃণমূলের
আরও শুনুন: 30 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে জোর মোদির, সাধুবাদ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। দিনকয়েক আগে বাংলার একাধিক জেলার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ২ মে থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটির কথা জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ফলে টানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি পাচ্ছে পড়ুয়ারা। সেই ছুটির মেয়াদ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টে এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মামলাকারীর দাবি, করোনাকালে প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল। তার ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার একটানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের আরও ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে ছুটির মেয়াদ নিয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে এই মামলায়। স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে কেরল সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, কেরলে পড়ুয়াদের স্বার্থে গ্রীষ্মের ছুটি ১০ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়। সে রাজ্যের অনুকরণেই বাংলাতেও গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
2. সোমবার, ২ মে রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি। ২০২১ সালের এই দিনই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে অনেক পিছনে বাংলা বেছে নিয়েছিল নিজের মেয়েকেই। আর তাই এইদিনে রাজ্যবাসী তথা মা-মাটি-মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা কারণেই তৃতীয়বারের জয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল তৃণমূলের কাছে, তেমন বাংলার কাছেও। বাংলা দখল করতে প্রায় সর্বশক্তি নিয়েই ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। টুইটে এই পরিস্থিতিকে ‘দেশের কর্তাব্যক্তিদের আস্ফালন’ বলে খোঁচাও দিয়েছেন মমতা। সেই আস্ফালনের পাশাপাশি ছিল একাধিক তৃণমূল নেতার দল ছাড়ার ঘটনা। যদিও শেষমেশ মানুষের রায় মমতার পক্ষেই গিয়েছে। বিপুল জনাদেশ মাথায় নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠন করেই জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নে আরও জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প তো ছিলই, পরে চালু হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ভোটের আগে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগ জানাতে পেরেছিলেন, তার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। সব মিলিয়ে তৃতীয় তৃণমূল সরকার জনকল্যাণকেই পাখির চোখ করেছে। আর তাই উদযাপন এবং উৎসবের মধ্যেও কর্মদিবস যাতে না নষ্ট হয়, এদিন সে খেয়ালও রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।