ফের নাটকীয় পালাবদল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। ফাটল এনসিপি-তে, বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ অজিত পওয়ারের। শপথ উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে। ২১ জুলাই কলকাতায় বিজয় সমাবেশ। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে কমিশন ও রাজ্য। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় চোট। বিকল্প পদ্ধতিতেই তৃণমূলের প্রচার সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিন্ন বিধি বিতর্কে আপাতত মুখে কুলুপ কংগ্রেসের। ভারতে পাঠাতে আপত্তি নেই ক্রিকেটারদের। অবস্থান স্পষ্ট করে সরকারের কোর্টেই বল ঠেলল পিসিবি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘সংবিধান না মেনে কাজ’, ভোটহিংসায় রাজ্যপালের পদক্ষেপে বিরক্ত স্পিকার
বিস্তারিত খবর:
1. আচমকাই নাটকীয় পটপরিবর্তনের সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। ফাটল ধরল শরদ পওয়ারের এনসিপিতে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিব সেনা সরকারে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান নেতার ভাইপো অজিত পওয়ার। জানা যাচ্ছে, অজিতের সঙ্গে রয়েছেন এনসিপির (NCP) ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩০ জন। আগেই অজিত জানিয়েছিলেন, বিরোধী দলনেতার পদ নয়, তিনি চান সংগঠনের ক্ষমতা। কিন্তু তাঁর সেই দাবিকে আমল দেননি শরদ। ফলে এনসিপিতে অজিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেই গিয়েছিল। রবিবার সকালে অজিত পওয়ার বৈঠক করেন বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে। শরদ পওয়ার এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানতেন না। অজিতের বাসভবন ‘দেবগিরি’তে উপস্থিত নেতা-বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম দলের এক বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবল। সবচেয়ে আশ্চর্যের, বর্তমানে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও সেই বৈঠকে ছিলেন। শেষপর্যন্ত অজিতের ‘বিদ্রোহে’র পরই স্পষ্ট হল এনসিপির ফাটল। এই পালাবদলে শিন্ডে পরবর্তী অধ্যায়ে আরও এক দফা রাজনৈতিক চমক অপেক্ষা করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে এই ঘটনার পরেই শরদ পওয়ারকে ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরকম পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান নেতার পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. পঞ্চায়েতের শেষবেলার প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসকদল তৃণমূল। আর সেখানে রীতিমতো চমক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট, ১১ তারিখ ফলপ্রকাশ আর ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসেই বিজয় সমাবেশ হবে। এদিন সুজাপুরের জনসভায় অভিষেকের নিশানায় ছিল মূলত কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আপনারা কংগ্রেসকে ভরসা করে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতিয়েছিলেন। এই জেলায় একজন বিজেপি, একজন কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তাঁরা এতদিন কী কাজ করেছেন?’ ২০২১ সালে জয়ের জন্য জনতা জনার্দনকে ধন্যবাদও দেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকের প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন অভিষেক। তিনি জানান, যেখানে জাতীয় স্তরে মমতা-রাহুল হাতে হাত ধরে বিজেপিকে হারাতে লড়াইয়ে এগিয়ে, সেখানে রাজ্যে বসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলের কুৎসা করতে ব্যস্ত। তবে তাতে যে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে না, তা আত্মবিশ্বাসের সুরেই জানিয়ে দেন অভিষেক। ২১ জুলাই শহিদ দিবসে, বিজয় সমাবেশ পালিত হবেই প্রত্যয়ো ঘোষণা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।