কেন্দ্রের নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত আইনত বৈধ, রায় শীর্ষ আদালতের। পাখির চোখ পঞ্চায়েত। ‘দিদিকে বলো’র পর তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ৩ লক্ষ প্রতিনিধি। চালু ‘দিদির দূত’ অ্যাপ-ও। এবার র্যাঙ্কিং নিয়ে প্রশ্নের মুখে ববিতা সরকার। দ্বারস্থ কলকাতা হাই কোর্টের। বগটুই কাণ্ডে এবার নাম অনুব্রত মণ্ডলের। শুরু জোকা-তারাতলা মেট্রো যাত্রা। সকাল ১০ টা থেকে চালু মেট্রো। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দিল্লিতে। ধাক্কা দিয়ে তরুণীর শরীর টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:31 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘রেফার’ নিয়ে কড়া রাজ্য, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের
আরও শুনুন: 30 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় যাত্রা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, একযোগে উদ্বোধন মোদি-মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে কেন্দ্র। ২০১৬ সালে নোটবাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, তার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলার রায়ে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার জানাল যে, নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত আইনত বৈধ ছিল। যদিও বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। নোট বাতিলের বৈধতা এবং উপকারিতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে গত ৬ বছরে। এই সংক্রান্ত মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত কয়েক মাসে ধরে যার শুনানি চলছিল বিচাপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক কোনও সিদ্ধান্তকে পালটে দেওয়া যায় না। এমনকী কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বিবেচনা করেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বদলানো যায় না। এছাড়াও রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পরেই যে সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র, তাও জানিয়েছেন বিচারপতিরা। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বদলের জন্য যে ৫২ দিন সময় দিয়েছিল কেন্দ্র, তা যথেষ্ট ছিল। শীর্ষ আদালত নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে মোদির পক্ষে রায় দিলেও খানিক ভিন্নমত বিচারপতি বিভি নাগারত্নের। তিনি জানান, নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্ত সরকার ঘোষণা করেছে, যা আদতে সংসদের মাধ্যমে আসা উচিত ছিল। তিনি তাই এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলেন। তাঁর মতে, যে লক্ষ্যে নোটবন্দি করা হয়, তা আদৌ পূরণ হয়নি। যদিও সাংবিধানিক বেঞ্চের বাকি চার বিচারপতি নাগারত্নার সঙ্গে একমত হননি। ফলে নোটবাতিলের বৈধতা নিয়ে আর কোনও প্রশ্নের অবকাশ থাকল না। এই রায়ের পাশাপাশি নোটবাতিল বিরোধী যাবতীয় মামলাও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
2. পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেই নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করল তৃণমূল। ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হবে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি। সোমবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একই সঙ্গে চালু হয়েছে ‘দিদির দূত’ অ্যাপ। আগামী দু’মাস ধরে রাজ্য জুড়ে চলবে এই কর্মসূচি, যা বাস্তবায়িত করতে সাড়ে ৩ লক্ষ দলীয় প্রতিনিধি ‘দিদির দূত’ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই প্রতিনিধিরা মোট ২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছবেন। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘সবুজসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’র মতো রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন তাঁরা। প্রত্যেকের হাতে থাকবে দলের নির্দিষ্ট ব্যান্ড ও বুকে থাকবে ব্য়াজ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দুয়ারে সরকারের আইডিয়ার আরেকটা রূপ এই কর্মসূচি। সরকার যে কাজ করছে, করুক। পাশাপাশি পার্টির কাছেও কিছু অভিযোগ আসে। তা এলে কাজ করতে হবে দলীয় স্তরে। অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকে। কিন্তু মানবিক কারণে তা এড়িয়ে সমাধানের কাজটা আগে করতে হবে।” কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২ মাস ধরে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে যাবেন ৩২০ জন নেতাও। ১০ দিন করে নির্দিষ্ট অঞ্চলে রাত্রিযাপন করবেন তাঁরা। জনসংযোগ সভা করে স্থানীয় মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন দলীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি ‘দিদির দূত’ হিসাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। হাতে তুলে দেবেন ‘দিদির চিঠি’। প্রতিটি বাড়িতে কে কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, তা জানতে হবে। আবার কারা কোন প্রকল্পের জন্য় যোগ্য় তাও জানতে এবং জানাতে হবে। কোনও অভিযোগ থাকলে তা ‘দিদির দূত’ অ্যাপে রেজিস্ট্রার করতে হবে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগ জোরদার করতেই অভিনব পদক্ষেপ তৃণমূলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।