আদানি ইস্যুতে বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেয়ার বাজারে ধসের জেরে প্রায় পড়ে যাচ্ছিল সরকার। বাজেট নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। আদানি গ্রুপের শেয়ার পতন নিয়ে সরব খাড়গে-সহ বিরোধী সাংসদরা। সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু সেবির। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের হালও খতিয়ে দেখছে আরবিআই। বিশ্বভারতীর সঙ্গে বেনজির সংঘাত রাজ্যের। নাম না করে উপাচার্যকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের পাশে থাকার আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আয়করে বড় বদল বাজেটে, ‘গরিব-বিরোধী’ বাজেট বলে তোপ মমতার
আরও শুনুন: 31 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নথিতেও নেই বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
বিস্তারিত খবর:
1. আদানি ইস্যুতে বিস্ফোরক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাল তো প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল।” তিনি আরও বলেন, “কাউকে-কাউকে অনুরোধ করে, কাউকে বলেছে ২০ হাজার কোটি দাও, ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও। যাদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল তাঁদের দাও।” রাজনৈতিক মহলের দাবি, আদানি গোষ্ঠী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ। এদিন সেই ইস্যুতেই মমতা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেটকে অমাবস্যার বাজেট বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সভানেত্রী। এদিনও ফের একবার কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বাজেটে বেকারদের জন্য একটি কথাও নেই। ভোটে এলে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট চলে গেলে ৪ কোটি চাকরি খেয়ে নেবে। কারণ সব শিল্প বন্ধ।” মোদি সরকার বাজেটে ‘কথার কারসাজি’ করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর। আয়করে ছাড়ের বিষয়টিও সম্পূর্ণ ‘ভাঁওতা’ বলে দাবি করেছেন তিনি। একে ‘মাছের তেলে মাছ ভাজা’ বলেও এবার মোদি সরকারকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
2. আদানি ইস্যুতে এবার সরগরম সংসদও। আদানির সংস্থায় ‘বেনিয়মে’র অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে আলোচনার দাবিতে সরব বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে এদিন প্রথমে লোকসভা এবং পরে রাজ্যসভা দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে বিজয় চকে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা।
এদিন সকালেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে সম্মিলিত বিরোধী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আদানি ইস্যুতে আলোচনার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী একাধিক সাংসদ এই ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদে নোটিসও দেন। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর একটি বিশেষ সংস্থার শেয়ারে ধস নামা শুরু করেছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছে আমজনতাও। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার পক্ষ আলোচনায় রাজি না হওয়ায় বিরোধীরা শোরগোল বাধান। এরপরই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি, নাহয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে তদন্ত করতে হবে। তাঁর কথায়, “গরিব মানুষের টাকা LIC, SBI এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন। তাঁরা নিজেদের সঞ্চয় হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। আমরা ওই ইস্যুতে সংসদে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমরা যখনই গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যুতে আলোচনা করতে চাই, আমাদের দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়।” খাড়গের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন অন্যান্য বিরোধী সাংসদরাও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।