মমতার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রস্তাব অধীর চৌধুরীর। অবসরের পর আসতে পারেন রাজনীতিতে, জানালেন বিচারপতিও। মহুয়ার সমর্থনে ফের সুর চড়ালেন অধীর। নেত্রীর সাংসদ পদ খারিজে এথিক্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে আপত্তি। লোকসভার স্পিকারকে চিঠি কংগ্রেস নেতার। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে মাস্টারস্ট্রোক। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে থাকবে ‘স্বতন্ত্র কোড’। গণনার আগেই রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে নির্দলদের সঙ্গে যোগাযোগ বিজেপির। পিছোল মিজোরামের ভোট গণনা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- লোকসভা ভোটের আগে ফের ‘দুয়ারে সরকার’, জানুয়ারিতেই মিলবে পরিষেবা
বিস্তারিত খবর:
1. মমতার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রস্তাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তাঁকে বাম ঘনিষ্ঠ বলেই অনুমান করে থাকে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু অধীরের এহেন প্রস্তাবে অন্যরকম রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিতও দেখছে একাধিক শিবির।
শনিবার বহরমপুরে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর বলেন, ”আমরা চাইব আগামিদিনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। তা যদি হয়, আমি কায়মনোবাক্যে এই মানুষটাকে ভোট দিতে সবার আগে লাইনে দাঁড়াব।” অধীরের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়ন রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে অবসরের পর তিনি রাজনীতিতে নাম লেখাতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। তবে এই মন্তব্যের দরুন একযোগে প্রদেশ সভাপতিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।
2. তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে ফের সুর চড়ালেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজে এথিক্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে আপত্তি তুললেন তিনি। লোকসভা অধিবেশনের আগে ফের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখলেন হাত শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা।
টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ইতিমধ্যেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। আর এই রিপোর্ট পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েই এবার স্পিকারকে চিঠি লিখলেন অধীর। সুপারিশে বেশ কয়েকটি নিয়মের কথা উল্লেখ করে আপত্তি জানিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, সাংসদ প্রশ্ন করবেনই, কিন্তু অপছন্দের প্রশ্ন হলে তাঁর মুখ বন্ধ করা হবে, তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট গোপন থাকার বদলে তা প্রকাশ্যে চলে এল কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেতা। পাশাপাশি স্পিকারের কাছে তাঁর আবেদন, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তবেই যেন মহুয়াকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সোমবার, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই এই সংক্রান্ত রিপোর্টটি পেশ হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ফের মুখ খুললেন কংগ্রেসের দলনেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।