বাঙালির মাছপ্রীতি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিপাকে পরেশ রাওয়াল। অভিনেতাকে পালটা বিঁধলেন কুণাল ঘোষ। তালতলা থানায় এফআইআর দায়ের সিপিএমের। চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত দুয়ারে সরকার পরিষেবার মেয়াদ বাড়াল নবান্ন। কলকাতায় সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ পুরসভার। ধর্মান্তকরণ রুখতে ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনে সংশোধন উত্তরাখণ্ড সরকারের। ম্যাচ চলাকালীন আচমকা অসুস্থ রিকি পন্টিং। হার্টের সমস্যা ধরা পড়ায় ভরতি করা হল হাসপাতালে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মাছ নিয়ে বাঙালির উদ্দেশে বেলাগাম মন্তব্য করে আইনি বিপাকে বলিউড অভিনেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ পরেশ রাওয়াল। বাঙালির ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল, সিপিএম। এদিন ভালসাদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পরেশ রাওয়াল বলেন, “গ্যাসের দাম বাড়লে তা আবার কমে যাবে। মূল্যবৃদ্ধি হলে সেটাও লাগামের মধ্যে চলে আসবে। সকলের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু দিল্লির মতো আপনাদের চারপাশেও রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঘুরে বেড়ায়, তখন কী করবেন? কমদামের গ্যাসে মাছ রান্না করে বাঙালিদের খাওয়াবেন?” নির্বাচনী প্রচারে তাঁর এহেন মন্তব্য শুনেই সরব হন তৃণমূলের আইটি সেলের রাজ্যের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। মাছ ও বাঙালির চিরন্তন সম্পর্ককে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে ছড়া কেটে কুণাল ঘোষ বলেন, “মোহনবাগানের চিংড়ি আর ইস্টবেঙ্গলের ইলিশ/ মাছ নিয়ে বলতে এলে করে দেব পালিশ।” পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে তালতলা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিকে তাঁর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই টুইট করে ক্ষমা চেয়েছেন পরেশ রাওয়াল। জানিয়েছেন, বাঙালি জাতিকে অপমান করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাঙালিকে এক সারিতে বসানোর বিষয়টি নিয়ে একযোগে সরব হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
2. আরও বাড়ল দুয়ারে সরকার পরিষেবার মেয়াদ। শুক্রবার নবান্নর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে দেওয়া হল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে চলবে এই পরিষেবা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। আসন্ন নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসেই জানানো হয়েছিল দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধানের পঞ্চম দফার কর্মসূচি পয়লা থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। সেখানে যুক্ত করা হয়েছিল নতুন কিছু পরিষেবাও। তারপর নভেম্বরের শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার পরিষেবা বজায় থাকবে। সমস্ত জেলাকেও এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হল, চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্তই এই পরিষেবা পাবে রাজ্যবাসী। এদিকে সব আবেদনপত্রের নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর। এই পরিস্থিতিতে বাড়তে পারে সেই সময়সীমাও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।