ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তায় হাত নেই মোদির। প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট মমতার। ৫৮ দিনের মাথায় এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডির। নাম পার্থ, অর্পিতার। দুই ধৃতের মোট ১০৩ কোটির সম্পত্তির খতিয়ান পেশ ইডি-র। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বগটুই কাণ্ডে নয়া মোড়। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনে মূল অভিযুক্ত সোনা শেখকে গ্রেপ্তার সিবিআইয়ের। শেষ বিদায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জন্মদিনে কুনো অভয়ারণ্যে ৮ চিতা ছাড়লেন মোদি, কটাক্ষ বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়। পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৯টি, বিপক্ষে ৬৪টি। এদিন বিধানসভার ১৬৯ ধারা মোতাবেক নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের শাসকদলের দুই বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায়। প্রস্তাবে বলা হয়, অভিযোগ থাকলেও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি নরম মনোভাব প্রদর্শন করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। এদিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শাসক দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দকে হয়রান ও গ্রেপ্তার করে রাজ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিন্দা প্রস্তাবের ভাষণের শুরুতেই বিজেপির উদ্দেশে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চ্যালেঞ্জ, “বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই তল্লাশি করতে বলব। টাকার পাহাড় পাবে। তল্লাশির সময় আমরা সঙ্গে থাকব, দেখিয়ে দেব, কার কোথায় ক’টা ফ্ল্যাট রয়েছে।” পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি প্রসঙ্গ তুলে পরোক্ষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও মমতা কটাক্ষ করে বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত নেই। সিবিআই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে। বিজেপি নেতাদের হাত রয়েছে।” এদিকে নিন্দা প্রস্তাব পাশের পরই সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অধিকার খর্ব করেছিলেন বলেই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়ে মমতা কার্যত বিরোধীদের হাতে ফের ‘সেটিং অস্ত্র’ তুলে দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির ৫৮ দিনের মাথায় এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল ইডি। তাতে নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ ৬টি সংস্থার। জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে পার্থ ও অর্পিতার মোট ১০৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান রয়েছে। ‘অপা’র অস্থাবর সম্পত্তির সংখ্যা ৪০। যার দাম ৪০.৩৩ কোটি টাকা। তদন্তে হদিশ মিলেছে ৩৫ টি অ্যাকাউন্টের। যাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। নগদ উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা। সোনা উদ্ধার হয়েছে পাঁচ কোটি ৮ লক্ষ টাকার। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, জমি, সোনার গয়না। আপাতত সিবিআই হেফাজতেই আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জেল হেফাজতে আছেন অর্পিতা। এই চার্জশিটের উপর ভিত্তি করেই এগোবে তদন্তের পরবর্তী ধাপ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।