রাজভবনে চালু হল ‘পিস রুম’। পদক্ষেপের সমালোচনায় তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া সংস্থার কাজ নয়, দাবি কমিশনের। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সমস্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার। নওশাদের মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা, পালটা তৃণমূলের। গীতা প্রেসকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ কেন্দ্রের। বিতর্কের আবহে পুরস্কারের ১ কোটি টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংস্থার। একইদিনের দুবার বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে সুনীল ছেত্রীরা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েতে অশান্তি রুখতে এবার আরও সক্রিয় হলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার থেকে রাজভবনে চালু হয়েছে ‘পিস রুম’। যেখানে সরাসরি নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে। গুরুত্ব বিবেচনা করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। মনোনয়ন পর্বে ঝরেছে রক্ত। প্রাণহানিও ঘটেছে। তাতেই উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যে অশান্তির বিরোধিতায় কড়া বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ভাঙড়, ক্যানিংয়ের অশান্ত এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। তারপর এল এই নয়া পদক্ষেপ। সরাসরি ‘পিস রুমে’ ফোন করে অথবা ই-মেলের মাধ্যমে জানানো যাবে অভিযোগ। শুরুর দিনই কার্যত নালিশের পাহাড় জমা পড়েছে। এমনকী বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও নিরাপত্তা নিয়ে ইমেল করে রাজভবনের সাহায্য চেয়েছেন। এদিন ‘পিস রুমে’ গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু দেখেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিকে রাজভবনের ‘পিস রুম’ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জোর তরজা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন। রাজভবনকে এবার পার্টি অফিস ঘোষণা করে দিলেই পারেন। তবে সমালোচনা সত্ত্বেও রাজ্যপালের আশ্বাস ভোট শান্তিপূর্ণই হবে।
2. কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর ইস্যুতে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দায়ের করা মামলাটি সোমবার শীর্ষ আদালত গ্রহণ করেছে। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে অশান্তির জেরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। সেখানে দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনরই। এর প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ভোটের দিন রাজ্যের সর্বত্রই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে। সেই ৪৮ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হয়েছে শনিবার। তার আগেই অবশ্য শীর্ষ আদালতে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেছিল কমিশন। শীর্ষ আদালতকে এদিন কমিশন জানায়, ‘পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টুকু দেখাই কমিশনের কাজ। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া আমাদের কাজ নয়।’ মঙ্গলবার এই মামলার পবর্তী শুনানি। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।