‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে পিছু হটছে না সেনা। রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক শেষে ঘোষণা আরও একগুচ্ছ সুবিধার। বিতর্কে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী-ও। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতায় শুরু কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ। যোগদান প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর-ও। ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৩ হাজার। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত সাড়ে তিনশোর বেশি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশ, বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল বাংলাতেও
বিস্তারিত খবর:
1. ‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তিনি বললেন, “এটা আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে বহু ভালো জিনিসের পরিকল্পনা করা হয় ভাল উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাজনীতির রং লেগে সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়ে যায়।” এদিকে বিক্ষোভের মাঝেই রবিবার সেনার তিন বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে একগুচ্ছ সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হল সেনার তরফে।
তবে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প প্রত্যাহার করার যে প্রশ্ন নেই, তা এদিন সাফ জানিয়ে দিল সেনা। জানানো হল, প্রথম দফায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫ হাজার, এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪০ হাজার অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হবে। এদিকে অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর থেকে নৌসেনায় প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও নিয়োগ করা হবে অগ্নিবীর হিসেবে। অন্য জওয়ানদের মতোই ভাতা পাবেন অগ্নিবীরেরা। কোনও অগ্নিবীর শহিদ হলে তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকার অর্থসাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে নিয়োগের সময় পুলিশি যাচাই ছাড়াও, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে অংশ নেননি এই মর্মে মুচলেকা পেশ করতে হবে তাঁদের।
বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, বিক্ষোভের জেরে নয়, আগে থেকেই স্থির করা হয়েছিল এই সুবিধাগুলি। সেই সঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী-র মতে, “সেনার চাকরি একটা আবেগ, একে বেতন দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না।”
2. ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োগের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে প্রবল বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে ৭০০ কোটিরও বেশি। এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিরোধীরাও। কংগ্রেসের আবেদন, এই প্রকল্প প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্র। রবিবার থেকে যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছে তারা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীরও। কিন্তু মা সোনিয়া গান্ধীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন বলে খবর। এদিন রাহুলের জন্মদিন উপলক্ষে যেন কোনও উদযাপন না হয়, সে বিষয়ে আগেই দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন কংগ্রেস নেতা। পরিবর্তে তিনি চান, ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে প্রতিবাদেই ফোকাস থাকুক দলের। এদিন যন্তর মন্তরে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে দিগ্বিজয় সিং, সলমন খুরশিদ, জয়রাম রমেশ, রাজীব শুক্লার মতো প্রথম সারির নেতাদের। এবার সরাসরি পথে নেমেই কেন্দ্রকে চাপে রাখার প্রয়াস শুরু করল হাত শিবির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।