আর জি কর কান্ডে ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফের অনুমতি আদালতের। সিবিআই দলে হাথরসের অফিসার। ময়নাতদন্তে মিলল গণধর্ষণের প্রমাণ। গুজব ছড়ানোর অভিযোগকে চ্যালঞ্জ। লালবাজারে অভিযান চিকিৎসক-আইনজীবীদের। ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন কুণালের। CBI-এর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি তৃণমূল নেতার। আর জি কর কাণ্ডে মোদিকে চিঠি ৭০ চিকিৎসকের। নির্বাচনের ঘোষণা হতেই রক্তাক্ত কাশ্মীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- রণক্ষেত্র যুবভারতী, ফুটবলপ্রেমীদের মিছিলে লাঠিচার্জের অভিযোগ
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল আদালত। কবে টেস্ট হবে তা জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, টেস্টের আগে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সঞ্জয় রায়কে হাজির করা হবে। সেখানে ধৃতকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সে পলিগ্রাফ টেস্টে রাজি কি না। তার পরই হবে পরীক্ষা। সোমবার আদালতে সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্যও অনুমতি চায় সিবিআই। এদিকে, আর জি করের ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এদিন সেই নমুনার তালিকা আদালতে জমা করেন তদন্তকারীরা। কী কী সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি লালবাজারেও যান সিবিআই তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতের আগে সঞ্জয় রায় কোথায় গিয়েছিল, তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আর জি করের তদন্তকারী সিবিআই দলে যুক্ত হলেন হাথরস কাণ্ডের অফিসার সীমা পাহুজা। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের প্রায় ৬৫ জন আধিকারিক এসেছেন কলকাতায়। একইসঙ্গে এসেছে মৃত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। আগেই আন্দাজ করা হয়েছিল মৃতা তরুণী গণধর্ষণের শিকার। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তরুণীকে গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন।
2. সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডা. কুণাল সরকার এবং ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই অভিযোগকেই চ্যালেঞ্জ করেন ডা. কুণাল সরকার। যদিও পুলিশের নির্দেশমতো লালবাজারে হাজিরা দেন তাঁরা। এইসময় অন্যান্য চিকিৎসকরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সোমবার চিকিৎসকদের বড় অংশ লালবাজারের গেটের বাইরে জমায়েত করেন। তাতে শামিল হন আইনজীবীরাও। বিকেলে লাল্বাজার থেকে বেরিয়ে ডাঃ কুণাল সরকার হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আমি বা সুবর্ণ, আমরা কেউ খুনের আসামি নই। মিথ্যে অভিযোগে আমাদের ডেকে পাঠানো হল কেন?” একইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পরে এইভাবে তলব করলে তাঁরা সহযোগিতা করবেন না। যদিও চিকিৎসকদের এই অভিযানের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, লালবাজার অভিযানের মাঝেই তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয় কলকাতা হাই কোর্টেও। আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়ান আইনজীবী বামনেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সোমবার আইনজীবীদের মিছিলকে কেন্দ্র করেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গ তুলে সায়নকে তীব্র নিশানা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জামানত বাজেয়াপ্ত নিয়ে খোঁচাও দেন তিনি। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।