যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ধৃত সৌরভকে জেরা সিপির। CBI, NCB, NIA তদন্তের দাবিতে মামলা প্রাক্তনীর। যাদবপুরের পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। টানা ৩ বছর ধরে র্যাগিংয়ের শিকার পড়ুয়া। দুই দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত কলকাতা পুরসভা। বিজেপির পছন্দের ২০ জুনে আপত্তি। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসাবে বিকল্প দিন চায় তৃণমূল। ৫০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে কেন্দ্রের জনধন যোজনা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. যাদবপুর কাণ্ডে এবার আসরে নামলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল স্বয়ং। ঘটনার রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী-সহ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তিনিই। জেরার উদ্দেশ্যে এদিন আদালত থেকেই সরাসরি লালবাজারে নিয়ে আসা হয় শেখ নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে যাদবপুর থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সৌরভকেই, যাঁর নাম রয়েছে মৃত ছাত্রের বাবার দায়ের করা এফআইআর-এও। তাঁকে গ্রেপ্তার করার আগে কসবা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়েও ওই প্রাক্তনীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন কমিশনার। এরপর শনিবারও সৌরভকে আলাদা করে জেরা করলেন বিনীত। অভিযুক্তরা বারবার বয়ান বদল করছে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর। তবে লাগাতার জেরার মাধ্যমেই সঠিক তথ্য জানতে তৎপর কলকাতা পুলিশের দুঁদে কর্তারা। এদিকে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, এনআইএ এবং এনসিবি-কেও যুক্ত করা হোক, এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অভ্র সেন। পুলিশি তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
2. যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। কলকাতার এক প্রাক্তনীর দাবি, লাগাতার তিন বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। শনিবার আলিপুর পুলিশ কোর্টে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজি বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন বীরভূমের বাসিন্দা ওই ছাত্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজের বালিগঞ্জ ক্যাম্পাসের প্রাক্তনীর দাবি, সিনিয়ররা তাঁকে জোর করে মদ্যপান করাত। মদ এনেও দিতে হত তাঁকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। গত ৮ জুলাই বালিগঞ্জ থানায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি। এরপর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পদক্ষেপ করল প্রশাসন। সুবিচার পাওয়ার আশায় নির্যাতিত পড়ুয়া।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।