জাতীয় দলের তকমা ফেরাতে শাহকে ফোন? প্রমাণ দিলে পদত্যাগ করব, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ মমতার। যথাসময়ে প্রমাণ দেব, পালটা বিরোধী দলনেতার। তৃণমূলের সদস্য নন, মুকুল রায় বিজেপি বিধায়কই। তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের নেতৃত্বে রাজ্যে শুরু তৃণমূলের ‘সংযোগ যাত্রা’। চিনকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। তথ্য দিল রাষ্ট্রসংঘ।তাপপ্রবাহের মাঝেই সুখবর। সপ্তাহান্তেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলার একাধিক জেলা। রাজ্যে আবহাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. অমিত শাহকে ফোন করা ইস্যুতে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা, শুভেন্দুর এই দাবি উড়িয়ে দিলেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পালটা চ্যালেঞ্জ, “যদি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদও ছেড়ে দেব।”
সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, দলের সর্বভারতীয় তকমা সরতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারবার ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে। জানিয়েছিলেন জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আরজিও। শুভেন্দুর সেই অভিযোগ নিয়ে আলোড়ন শুরু হতেই পালটা সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। জনগণের সমর্থন নেই, তাই পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে মমতার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পালটা হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, একদিনের মধ্যেই সব প্রমাণ প্রকাশ্যে আনা হবে। যদিও ঘটনায় তৃণমূলের তরফে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। অমিত শাহকেও সেই নোটিসের প্রতিলিপি পাঠিয়ে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
2. মুকুল রায়কে নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বর্ষীয়ান এই নেতা কোন দলের সদস্য, এই প্রশ্নে এবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। তিনি কী রাজনৈতিক পদক্ষেপ করছেন বা করবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই। যদিও তাঁর ছেলের দায়ের করা মিসিং ডায়েরি মোতাবেক প্রশাসন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এর আগে মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সোমবার রাতে আচমকাই মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় দাবি করেন, তাঁর বাবাকে অপহরণ করে দু’জন নিয়ে গিয়েছেন। এমনকী এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডায়েরিও করেন তিনি। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরই দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুল রায়ের দেখা মেলে। নেতা নিজেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন না। বিজেপির হয়েই সক্রিয় ভাবে কাজ করবেন। এই প্রেক্ষিতেই বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের অবস্থান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের আচমকা দিল্লিযাত্রার নেপথ্যে কি কোনওভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ রয়েছে? এই প্রশ্নে মমতার জবাব, হতে পারে কেউ হুমকি দিয়েছে। তবে এই গোটা বিষয়কেই ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে মুকুলের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছেন মমতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।