নিয়োগ বিতর্কে নয়া পদক্ষেপ শিক্ষাদপ্তরের। রাজ্যের সব শিক্ষককেই নথি দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ। মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বেকায়দায় অধীর। ইন্ডিয়া জোট মেনে চলার বার্তা দিলেন খাড়গে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের। স্বাতী মালিওয়ালকে হেনস্তার অভিযোগ। গ্রেপ্তার কেজরিওয়ালের প্রাক্তন সচিব। কোভিশিল্ডের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনেরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জের, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ কমিশনের
আরও শুনুন: 16 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- নন্দীগ্রামে ‘প্রতারণা’র বদলা নেবই, শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে হুংকার মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে রাজ্যের সব শিক্ষককে যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ দিল শিক্ষাদপ্তর। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশিকার ভিত্তিতেই রাজ্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষককে যোগ্যতার প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ মে-র মধ্যে সমস্ত নথির হার্ড কপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকার মাধ্যমে ডিআইদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চাকরিরত শিক্ষকদের এসএসসির শংসাপত্র, সর্বশেষ নিয়োগপত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে। যারা এসএসসি থেকে নিয়োগ পাননি তাঁদের অ্যাপ্রুভাল মেমো দিতে হবে। তবে সরকারি নির্দেশ ঘিরে শিক্ষকমহলে জোর আলোড়ন তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। যাঁরা অবসরের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে, তাঁদেরও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে, এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে।
2. মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বেকায়দায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অধীরকে সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার সঙ্গে জোট মানতেই হবে। বস্তুত, ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ থেকে শুরু করে গোটা দেশে বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় আনার ক্ষেত্রে মমতাই অগ্রণী ভূমিকা নেন। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি তৃণমূলের। শাসকদলের দাবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিপিএম প্রীতিই এর জন্য দায়ী। তবে মমতা নিজে একাধিকবার জানিয়েছেন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না হলেও দিল্লিতে তিনি ইন্ডিয়া জোটের পাশেই আছেন। তৃণমূলই নেতৃত্ব দিয়ে দেশে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়বে। মমতার সেই অবস্থানে আপত্তি জানান অধীর। এ প্রসঙ্গেই অধীরকে কংগ্রেস সভাপতির সাফ বার্তা, “হয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মানতে হবে, না হলে বেরিয়ে যেতে হবে।” যদিও এর পালটা দিতে ছাড়েননি অধীর। দলের সভাপতির বার্তার পরও মমতা বিরোধী অবস্থান থেকে সরতে নারাজ দাপুটে কংগ্রেস নেতা। নিজেকে দলের সৈনিক হিসেবে ঘোষণা করেই খাড়গের মন্তব্যের পালটা জবাব দেন অধীর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।