আইনি জটিলতা কাটিয়ে মহকুমার তকমা পেল ধূপগুড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় উচ্ছ্বাসে মাতলেন এলাকার বাসিন্দারা। শুভেন্দুর আপত্তিতে ‘না’। সংহতি মিছিলে অনুমতি হাই কোর্টের। ঘুরবে মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বার, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেবে মিছিল। বদলাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সময়সূচি। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নয়া ঘোষণা পর্ষদের। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের শহর জুড়ে ইডি হানা। রামমন্দির উদ্বোধনে ঘোষণা অর্ধদিবস ছুটির। যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে ইরানে মিসাইল হামলা পাকিস্তানের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আইনি জটিলতা কাটিয়ে মহকুমার তকমা পেল ধূপগুড়ি। উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তা কার্যকর হল এবার। বৃহস্পতিবার সুখবর শোনালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই।
গত সেপ্টেম্বরে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল জিতলে ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর পর নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েও অভিষেকের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, কথা রাখবে সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহকুমার তকমা পাবে ধূপগুড়ি। মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পাশও হয়। কিন্তু কোনও ব্লককে মহকুমা ঘোষণা করতে হলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আইন বিভাগের অনুমতি দরকার। পরিকাঠামো উন্নয়নের আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়েছিল আইনি জটিলতা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল ধূপগুড়িবাসীর মধ্যে। প্রতিবাদ মিছিলেও শামিল হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বৃহস্পতিবার সেসব ক্ষোভের অবসান ঘটে খুশিতে মাতলেন ধূপগুড়িবাসী।
2. খারিজ শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তি। ২২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি মিছিলে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে, মিছিল থেকে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। তাছাড়া মিছিলের দরুন সাধারণ মানুষের যেন সমস্যা না হয়, রাজ্য এবং শাসকদলকে সেদিকেও নজর রাখতে বলেছে হাই কোর্ট। আদালতের এই রায়কে হাতিয়ার করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “সম্প্রীতির বাংলায় বিষ ঢালার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে যে বিষ ছড়ানো হচ্ছে, দরকারে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” জানা গিয়েছে, ওইদিন প্রথমে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দুপুর ৩টে নাগাদ হাজরা পার্কে জমায়েত করে পার্কসার্কাস পর্যন্ত মিছিল হবে। নেতৃত্বে থাকবেন মমতা নিজে। বালিগঞ্জের গড়চা রোডের কাছে গুরুদ্বারে পুজো দেবেন তিনি। লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের কাছে ক্যাথলিক গির্জায় প্রার্থনা সারবেন। এর পর পার্কসার্কাস মোড়ে মসজিদে যাবেন। অর্থাৎ মন্দির-গুরুদ্বার-গির্জা-মসজিদে প্রার্থনা জানিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মিছিলে শামিল হবেন পুরোহিত, ইমাম-মোয়াজ্জেমরাও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।