প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। নেতাজি-ট্যাবলো বিতর্কে আসরে রাজনাথ সিং। অখিলেশের পাশে মমতা। প্রচার করবেন যোগীরাজ্যে। যাবেন মোদির কেন্দ্র বারাণসীতেও। দেশে নিম্নমুখী করোনা-গ্রাফ। কমল পজিটিভিটি রেটও। ফের উধাও হতে চলেছে শীত। চলতি সপ্তাহে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যে বিধিনিষেধে ছাড়, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বইমেলা
বিস্তারিত খবর:
1. চলে গেলেন বাঙালির ‘ছোটবেলার জাদুকর’ নারায়ণ দেবনাথ। থেমে গেল বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদাদের পথচলা। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন শিল্পী। গত বছর ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। সারাক্ষণ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ সমরজিৎ নস্কর-সহ ছ’জনের টিম। ১৩ জানুয়ারি প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পদ্মশ্রী সম্মান। হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থাতেই তিনি তা গ্রহণ করেন। শনিবার রাত ৯.১৫ নাগাদ শিল্পীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালেই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল তাঁর। হাসপাতালেই সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ শিল্পী। তাঁর প্রয়াণের খবরে মর্মাহত অনুরাগীরা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলায় টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “শ্রী নারায়ণ দেবনাথজি তাঁর কাজ, কার্টুন এবং ছবির মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত শক্তি তাঁর কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলি আজীবন জনপ্রিয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে ব্যথিত।” শোকজ্ঞাপন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, “প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিত্রকর, কার্টুনিস্ট এবং শিশুসাহিত্যের জগতে অমর কিছু চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণের খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’র মতো চরিত্রদের সৃষ্টি করেছেন, আর তা আমাদের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে রয়ে যাবে।” শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যপালও। প্রবীণ শিল্পীর প্রয়াণে কয়েক প্রজন্মের বাঙালির শৈশবই যেন হারিয়ে গেল। দিকে দিকে স্মৃতিচারণায় ফুটে উঠেছে সেই আক্ষেপই।
2. দিল্লির রাজপথে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যের ট্যাবলো বাতিল হওয়া নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে। এবার পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামলেন খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে। স্পষ্ট করে জানালেন, ট্যাবলো নির্বাচনের বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে নেই। বিদ্বজ্জনদের নিরপেক্ষ কমিটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে অসম্মান করেনি কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র নেতাজিকে সম্মান প্রদর্শন করতে কী কী পদক্ষেপ করেছে, তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের ট্যাবলো বাতিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। চিঠিতে রাজনাথ আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার থাকাকালীনই সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে স্থান পেয়েছিল বাংলার ট্যাবলো। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই এ বিষয় নিয়ে টুইট করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে সেই টুইটের ভাষায় ছিল চ্যালেঞ্জের সুর। বদলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চিঠির ভাষা অনেক নরম এবং মার্জিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।