বিধানসভায় জবাবি ভাষণে বিজেপিকে তুলোধনা মমতার। কুম্ভ থেকে অভিবাসী প্রত্যর্পণ, বিভিন্ন ইস্যুতে সরব মুখ্যমন্ত্রী। বড়তলায় পথশিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যুবকের ফাঁসির নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তলের কন্ঠস্বরের নমুনা নিল CBI। রাজ্য সঙ্গীতে বিশ্বকবির লেখায় বদল নয়, জানাল নবান্নর নয়া নির্দেশ। ভুল ঘোষণায় পদপিষ্টের ঘটনা নয়াদিল্লি স্টেশনে। রেল পুলিশের রিপোর্টে অস্বস্তিতে রেল।জনস্বার্থ মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বিধানসভায় জবাবি ভাষণে বিজেপিকে নিশানা করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বিজেপি বিধায়করা একটি ধর্মকে বিক্রি করছেন, রাজ্যের শাসকদলকে তা করতে হয় না।
সদ্যই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কাগজ ছুড়ে একমাসের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু-সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক। এরপর রাজ্য সরকারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ এবং সাসপেনশনের কারণ নিয়ে মিথ্যাচার করায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ বয়কট করে বিজেপি। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিরোধী দলের আনা সব অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। রাজ্যে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না বলে বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে মমতার জবাব, ‘যোগমায়ার দুটি কলেজেই সরস্বতী পুজো হয়েছে।’ বক্তব্যের স্বপক্ষে ছবিও দিয়েছেন তিনি। এরপরই মহাকুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ,’ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে।’ পরিকল্পনাহীনতা নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও প্ল্যান হয়নি।’ পাশাপাশি মৃতদেহ নিয়েও যোগীরাজ্যের অব্যবস্থাকে তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বিজেপিকে নিশানা করে ‘অভিবাসী’ ভারতীয়দের হাতে-পায়ে শিকল কেন, এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বাদ যায়নি বাংলাদেশ ইস্যু। এ রাজ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে হিংসায় উসকানি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, এমনই দাবি মমতার। তবে তৃণমূল আছে বলে এই রাজ্য এখনও শান্ত, এই কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে এদিন এক বেনজির সংঘাতের সাক্ষী রইল বাংলার বিধানসভা।
2. বড়তলায় পথশিশুর যৌন নির্যাতনে অপরাধীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ৭ মাসের শিশুকে ফুটপাথে যৌন নিগ্রহ বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ, আদালতে সওয়াল করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয় আদালতও। মামলা শুরুর ৪০ দিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
ঘটনা ২০২৪-এর নভেম্বর মাসের। বড়তলা থানা এলাকার এক বাসিন্দা দেখেন বাড়ির সামনে ফুটপাথে শুয়ে তারস্বরে কাঁদছে এক দুধের শিশু। একই সময় ফুটপাথবাসী এক দম্পতি তাঁদের সন্তানের খোঁজ শুরু করেন। পরে বোঝা যায়, ফুটপাথে কাঁদতে থাকা শিশুটি ওই ফুটপাথবাসী দম্পতিরই সন্তান। একরত্তিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে এখনও চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটিকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে মোট ১৯ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। গত ডিসেম্বরে রাজীব ঘোষ ওরফে গোবরাকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থানার আলমপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষ হয়। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে মঙ্গলবার দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।