জল্পনার অবসান। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরলেন অভিষেক। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ঘোষিত বাকি ২ পুরসভার পদাধিকারীদের নামও। দেশের কোভিড গ্রাফে ফের উন্নতি। এক দিনে প্রায় ৫০০০ কমল আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থতার পথে বাংলাও। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে কোহলিকে বিশ্রাম দিতে পারে BCCI। চোট সারিয়ে দলে ফিরতে পারেন জাদেজা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- আলোচনায় বসতে ডাক রাজভবনে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. জল্পনার অবসান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নতুন কার্যকরী কমিটির বৈঠকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেককেই বেছে নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি তৃণমূলের সূত্রের। এর পাশাপাশি দলের নতুন সহ-সভাপতি হিসাবে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন দলনেত্রী। এরা হলেন যশবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুব্রত বক্সি।
তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও দলের চেয়ারপার্সন এবং কর্মসমিতির মধ্যে সমন্বয়কারী হিসাবে ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের আর্থিক নীতি নির্ধারণ করবেন অমিত মিত্র এবং যশবন্ত সিনহা-সহ কয়েকজন। এদিন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের জাতীয় মুখপাত্র হচ্ছেন সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যসভার মুখপাত্রও হচ্ছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভায় দলের মুখপাত্র হচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দলের সংগঠন দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। এদিনের বৈঠকে ভিনরাজ্য থেকেও নেতারা এসেছিলেন। ডাকা হয়েছিল মেঘালয়ের মুকুল সাংমা, উত্তরপ্রদেশের রাজেশপতি ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, গোয়ার লুইজিনহো ফ্যালেইরো, হরিয়ানার অশোক তানোয়ারকে। এঁরাই ওই রাজ্যগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব পেয়েছেন।
বস্তুত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করলেও কোনও পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-গুজব উড়িয়ে কার্যত আগের মতোই কমিটি গড়ে দিলেন মমতা। যাতে নবীন এবং প্রবীণদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. বিধাননগর পুরনিগমে মেয়রের দৌড়ে কে এগিয়ে, কৃষ্ণা চক্রবর্তী নাকি সব্যসাচী দত্ত, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের পর সমস্ত জল্পনার অবসান। বিধাননগরের মেয়র হিসাবে কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নামই ঘোষণা করলেন ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল।
সব্যসাচী দত্ত এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তী, দু’জনই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুদিনের সৈনিক। তবে ২০১৫ সালে সব্যসাচী দত্ত যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। অনাস্থার চাপে বিধাননগরের মেয়রের পদত্যাগ করতে হয়েছিল সব্যসাচীকে। এরপরই কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মেয়রের আসনে বসানো হয়েছিল। এসবের পর সব্যসাচীর ঘর ওয়াপসি হতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। তবে শুক্রবার তৃণমূল জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে বিধাননগরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাঁধেই।
এদিকে, এদিন আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার মেয়রের নামও চূড়ান্ত হয়। ভোটে লড়াই না করেও আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। বারাবনীর বিধায়কও তিনি। ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক। চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণত পুরনিগমে একজন ডেপুটি মেয়রই থাকেন। তবে আসানসোলে দু’জনের নাম চূড়ান্ত হওয়ায় বিধানসভায় পুর আইনে সংশোধনী আনা হবে বলেই জানান ফিরহাদ হাকিম। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। চেয়ারম্যানের নাম এখনও চূড়ান্ত নয়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।