বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের ঘোষণা রাজ্যে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে সাড়ে ১১ হাজার কর্মী। রাজ্যে জেলার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব নবান্নর। বেশিসংখ্যক আমলা চেয়ে দিল্লিকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য।হাঁসখালি কাণ্ডের এফআইআর-এ নাম নির্যাতিতার বাবা ও দাদার। ঘটনায় বিস্মিত নির্যাতিতার মা।লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্তর জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। নির্দেশ আত্মসমর্পণের।দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জনতার অভিযোগ শুনতে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, শুরু হচ্ছে ‘দিদিকে বলো ২’
বিস্তারিত খবর:
১। রাজ্যের চাকরীপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের ঘোষণা রাজ্য সরকারের। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বহুসংখ্যক কর্মী নিয়োগের কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে রাজ্য। তাই দুই ক্ষেত্রেই ১১ হাজার ৫২১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হবে। তবে পুরো নিয়োগটাই হবে চুক্তিভিত্তিক এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। খাদ্যদপ্তরে নিয়োগ করা হবে ৩৪২ জন ডেটা-এন্ট্রি অপারেটরকে, নিয়োগ হবে প্রকল্পের ভিত্তিতে। গত বছর হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। তাঁদের পরিবারের সদস্যকেও সরকারি চাকরি দেবে রাজ্য। মগরাহাটের নিহত দুজনের পরিবারের সদস্যকেও চাকরি দেওয়ার ঘোষণা রাজ্যের। পাশাপাশি রাজ্যের ট্রাক টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণ করবে সরকার। সেখানকার কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেবে রাজ্য। এতদিন তাঁদের বেতন কাঠামোয় ভিন্নতা ছিল। এবার আর তা হবে না। রাজ্য সরকার চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের বেতন দেবে। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরই শিল্প এবং কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই এল এই কর্মী নিয়োগের ঘোষণা।
২। প্রশাসনিক কাজ সুপরিচালনার জন্য এবার রাজ্যে জেলার সংখ্যা বাড়াতে চায় নবান্ন। বড় জেলাগুলিকে ভেঙে তৈরি হবে নতুন জেলা। জেলার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রশাসনিক কাজ সুপরিচালনার জন্য আরও বেশিসংখ্যক আমলার প্রয়োজন। দরকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারেরও। রাজ্যে আমলার সংখ্যা বাড়াতে এবার তাই দিল্লির ইউপিএসসিকে চিঠি দেবে রাজ্য। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমনটাই। তবে দক্ষভাবে প্রশাসন পরিচালনা করতে গেলে শুধু কেন্দ্রীয়স্তরের আমলা নয়, প্রয়োজন হবে রাজ্যস্তরের আমলা অর্থাৎ WBCS এবং WBPS ক্যাডারেরও। সেই সংখ্যাও বাড়াতে হবে। কোনস্তরে কত সংখ্যক WBCS এবং WBPS ক্যাডার প্রয়োজন, তা ঠিক করতে বিশেষ একটি কমিটি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। রাজ্য চাইলেই কিন্তু WBCS এবং WBPS-এর সংখ্যা বাড়াতে পারে না। সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। এই কমিটি সেই বিষয়গুলি দেখভাল করবে বলে জানা গিয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।