মিলল না সমলিঙ্গে বিয়ের স্বীকৃতি। যুগলদের দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে সমপ্রেমীদের সামাজিক সুরক্ষায় জোর প্রধান বিচারপতির। পুজোর পরই শুরু আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিং। আর বাধা রইল না বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধিতে। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত বিলে ছাড়পত্র দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। উত্তরপ্রদেশে মৃত বাংলার ২ শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 অক্টোবর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- পুজো উদ্বোধনে কলকাতায় শাহ, রাজ্যবাসীকে জানালেন শুভেচ্ছা
বিস্তারিত খবর:
1. সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি নয় এখনই। সরকারের উপর সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট। সমলিঙ্গ যুগলরা সন্তান দত্তক নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও পাঁচজনের মধ্যে তিন বিচারপতি নেতিবাচক মত দিয়েছেন। কিন্তু বিবাহে স্বীকৃতি না দিলেও সমলিঙ্গ যুগলদের সামাজিক সুরক্ষায় জোর দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁদের অহেতুক হেনস্তা থেকে রেহাই দিতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সমকামী কিংবা এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের যে কোনও মানুষকেই হেনস্থা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছে, শুধু মাত্র যৌন পরিচয়ের জন্য যাতে এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কোনওরকম বিভেদমূলক আচরণ যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, এই সম্প্রদায়ের কাউকে তাঁদের শুধু যৌন পরিচয় জানার জন্য থানায় তলব করা যাবে না। তাঁরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাঁদের সেখানে জোর করে ফেরানো যাবে না। এই সম্প্রদায়ের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করার আগে পুলিশকে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সমকাম নিছক শহুরে বিষয় নয়, কেন্দ্রের অবস্থানের বাইরে গিয়ে এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনও অনড়, অটল বিষয় নয়; এবং জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ- এমন মন্তব্য করলেও পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আদালত আইন তৈরি করতে পারে না। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারকেই অগ্রসর হতে হবে বলে মত শীর্ষ আদালতের।
2. হাই কোর্টের নির্দেশে জট কাটতেই শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু এসএসসির। সব ঠিক থাকলে বুধবারই আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। আর কাউন্সেলিং শুরু হতে পারে ৬ নভেম্বর থেকে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জানায়, শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করা যাবে। আপার প্রাইমারিতে মোট শূন্যপদ ১৪ হাজার ৩৩৯টি। যে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে রয়েছেন প্রায় ৯ হাজার প্রার্থী। কমিশন জানিয়েছে, এদের কাউন্সেলিং শুরু হবে পুজোর পর। তবে এদের এখনই নিয়োগ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “কাউন্সেলিং মানে স্কুল বেছে নেওয়া। কবে কোন বিষয়ে কাউন্সেলিং হবে, তা নিয়ে একটা প্রাথমিক চিন্তাভাবনা করেছি। প্রার্থীরা যাতে প্রস্তত হয়ে থাকতে পারেন তার জন্য আমরা একটা খসড়া নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দেব। কল লেটার পুজোর ছুটির পরে দেব।” ৩০ অক্টোবর, পুজোর ছুটি শেষে কমিশন খুললেই সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।