পঞ্চায়েতের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মেগা বৈঠক তৃণমূলের। নির্দল ‘কাঁটা’ সরাতে তৎপর দল। মনোনয়ন প্রত্যাহার না হলে শাস্তি, হুঁশিয়ারি শাসকদলের। মনোনয়নে অশান্তি, ভাঙড়ের পর ক্যানিং পরিদর্শন রাজ্যপালের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য ও কমিশন।মালদহে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। মনোনয়নের পর স্ক্রুটিনিতেও অশান্তি রাজ্যে। ১৫ জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন আগে হয়নি’, বাম-বিজেপিকে তোপ দেগে দাবি মমতার
আরও শুনুন: 15 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, কমিশনকে নির্দেশ হাই কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মেগা বৈঠক তৃণমূলের। ভোটে কী কৌশলে লড়বে তৃণমূল, কীভাবে প্রচার করবে, এদিনের বৈঠকে সেই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করল ঘাসফুল শিবির। জেলায় জেলায় জনসংযোগ, প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল ‘কাঁটা’ উপড়ে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। দলের প্রার্থীপদ না পেয়ে যাঁরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন, ২০ জুন অর্থাৎ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের মধ্যেই তাঁদের তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হল। অন্যথায় দল কড়া শাস্তির পথে হাঁটবে। নির্দলের হয়ে জিতলেও আর দলে ফেরানো হবে না এই প্রার্থীদের, সাফ জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। শনিবার মেগা বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিত জানিয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এদিকে বিজেপিবিরোধী জোটের স্বার্থে পঞ্চায়েতে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপের নামে ১৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বাংলার আপ নেতৃত্ব বলছে, এই ১৩ জনকে দল টিকিট দেয়নি। দলের নিষেধ সত্ত্বেও এমনটা ঘটল কেন, তা খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আপ নেতৃত্বের।
2. পঞ্চায়েতের মনোনয়নে অশান্তির জের। ভাঙড়ের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশান্ত এলাকা ক্যানিংয়ে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, চেন্নাই সফর বাতিল করে শনিবার তড়িঘড়িই এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তিনি। এদিন সকালেই রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই এদিন ক্যানিংয়ে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজ্যপাল। ‘রাজ্যে ডেমোক্রেসি নয় মবোক্রেসি চলছে’, ধনকড়ের সুরেই রাজ্যকে তোপ আনন্দ বোসের। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অভিযোগ, তিনি বিজেপি নেতাদের কথা শুনছেন, অপর পক্ষের বক্তব্য শোনার প্রয়োজনই বোধ করছেন না। রাজ্যপালকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বাম, কংগ্রেস, বিজেপির অভিযোগকে উসকে দিচ্ছেন রাজ্যপাল, এমনটাই তাঁর অভিযোগ। এদিকে ভোটহিংসার আবহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও এদিন তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে তিনি স্ক্রুটিনি নিয়ে ব্যস্ত জানিয়ে এদিন রাজভবনে যাননি কমিশনার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।