মমতার সংহতি মিছিল ‘আটকাতে’ হাই কোর্টে শুভেন্দু। অশান্তি রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চান নেতা। উসকানির অভিযোগ তুলে সুর মেলালেন নওশাদও। সন্দেশখালি কাণ্ডে যৌথ তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও সিবিআই। জোটসঙ্গী মমতাকে চটানো নয়। ঘুরিয়ে অধীরদের বার্তা রাহুলের। মন্দির উদ্বোধনের আগেই শুরু কলকাতা-অযোধ্যা বিমান পরিষেবা। বৃহস্পতিবার থেকেই বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। বৃষ্টিতে ভিজতে পারে গোটা বাংলা। পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন নেতার। তৃণমূলের এই কর্মসূচি আদতে বিভাজন তৈরির চেষ্টা, দাবি বিজেপির। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। পালটা কটাক্ষ ছুড়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “যারা ধর্মের নামে বিষ ঢালতে চায় তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। শুভেন্দু সম্প্রীতি চান না, তাই আদালতে গিয়েছেন।” আগামিকাল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই সংহতি মিছিল নিয়ে আপত্তি তুললেন নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁর অভিযোগ, “২২ তারিখ মিছিল ডেকে উসকানি দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সংখ্যালঘু ও সুশীল সমাজের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই, এই ফাঁদে পা দেবেন না।” তাঁর এই মন্তব্যে বিজেপি-আইএসএফের যোগ নিয়ে ফের উসকে উঠল জল্পনা।
2. সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনই সিবিআই তদন্ত নয়। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, জানিয়ে দুই সদস্যের সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নজরদারিতেই চলবে তদন্ত।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনায় একাধিক গ্রেপ্তারি হলেও মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। তদন্ত নিয়ে আগেও ন্যাজাট থানার পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবীও প্রশ্ন তোলেন, “লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান। তাহলে কেন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না তাঁকে?” পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই বলেই সাফ বক্তব্য ইডির। তদন্তভার পেলে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ দায়িত্ব নেবে বলে জানায় সিবিআই-ও। তবে শেষ পর্যন্ত এই মামলায় যৌথ তদন্তেরই নির্দেশ দিল আদালত। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে সিসিটিভিতে মুড়েছে সন্দেশখালি এলাকা। বসেছে পুলিশ পিকেটও। ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।