সন্দীপ ঘোষের পুনর্বহাল নিয়ে প্রশ্ন, দলকে ‘ভুল শোধরানো’র বার্তা কুণালের। ‘সেনাপতি’ অভিষেককে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ তৃণমূল নেতার। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তায় ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ। আর জি কর কাণ্ডে মমতার পাশে অখিলেশ। আর জি কর কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠল বড় প্রশ্ন। ফের কর্মবিরতির পথে রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। নিরাপত্তার অভাবে বাতিল কলকাতা ডার্বি। সিদ্ধান্ত ভুল, দাবি কুণালের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি কর কাণ্ডে CBI-কে ডেডলাইন মমতার, আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ধরনা
আরও শুনুন: 15 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বহিরাগত হামলায় অগ্নিগর্ভ আর জি কর, রাম-বামকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর কাণ্ডে প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। তবে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দলকে যুক্ত করে কাঠগড়ায় তোলা অনুচিত। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করে ভুল শোধরানোর বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একে একে বেশ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করেছেন তিনি। বুঝিয়েছেন, তা এখনও শুধরে নেওয়া সম্ভব। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষের পুনর্বহাল। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “আদালতের অপেক্ষায় না থেকে সন্দীপ ঘোষকে নতুন পদ থেকে এখনই অব্যাহতি দিক প্রশাসন।” কুণাল আরও বলেন, সন্দীপ ঘোষ দোষী না নির্দোষ, আমরা জানি না। তার প্রমাণ দেবেন তদন্তকারীরা। নিজের বক্তব্যে রাম-বাম প্রসঙ্গও তোলেন তৃণমূল নেতা। এদিকে, আর জি কর ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানালেন কুণাল ঘোষ। একেবারে শুরুর দিকে দোষীদের শাস্তি হিসেবে ‘এনকাউন্টার’-এর দাবি তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে অবশ্য তাঁকে তেমন দেখা যায়নি এই সংক্রান্ত বিভিন্ন দলের কর্মসূচিতে। তাই শনিবার দলের কর্মীদের হয়ে অভিষেককে সক্রিয়ভাবে পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
২। আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তায় ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ আনছে। মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তায় আপাতত ১২ দফা নির্দেশিকার কথা বলা হয়েছে। প্রথমেই রয়েছে মহিলাদের জন্য হাসপাতালগুলি শৌচালয়-সহ বিশ্রাম কক্ষের কথা। রাখতে হবে বাড়তি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী। সিসিটিভির আওতায় ‘সেফ জোন’ চালুর নির্দেশ রয়েছে। ‘রাত্তিরের সাথী’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় থানার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে বলেই দাবি রাজ্যের। চালু হয়েছে নতুন হেল্প লাইন নং। একইসঙ্গে হাসপাতালে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা পরীক্ষা, শ্বাস পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। মহিলারা দুজন কিংবা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করবেন, এমন নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের সবকটি তলায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, মহিলাদের রাতের শিফট থেকে যথাসম্ভব বাদ রাখা এবং রাতের শিফটে পুরুষ-মহিলা সমানুপাতে রাখার কথাও বলা হয়েছে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি সংস্থাকেও ‘রাত্তিরের সাথী’ ইনস্টল করতে হবে বলেই নির্দেশ রাজ্যের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।