জট কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। কালীঘাটে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা। ডাক্তারদের শর্ত মেনে বৈঠকে ২ স্টেনোগ্রাফার। টালা থানার অপসারিত ওসির পাশে কলকাতা পুলিশ। RG Kar ইস্যুতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি একাধিক সংগঠনের। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল আনতে তৎপর কেন্দ্র। জনগণনার আগে শরিক-বিরোধীর চাপে মোদি। হকিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. জট কাটিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। ২ ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। জানা গিয়েছে, কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার দাবিতে অনড় ছিলেন ডাক্তররা।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আলোচনার জন্য ফের ডাক পান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। জিবি বৈঠকের পর সেই দাবি মেনে নেন চিকিৎসকরা। তবে তিনটি শর্ত সামনে রেখেছিলেন তাঁরা। প্রতি শর্তের সঙ্গে অন্যটির বিকল্প রাখা হয়েছিল। ডাক্তারদের তরফে রাখা শেষ শর্তে সম্মতি জানায় রাজ্য। বলা হয়, দুপক্ষ স্বাক্ষরিত বৈঠকের কার্যবিবরণী দেওয়া হবে। এরপর স্টেনোগ্রাফারদের নিয়ে বৈঠকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে আলোচনা সদার্থক না হলে ফিরে এসে জিবি বৈঠক হবে, একথাও জানিয়ে দেন। সরকারের তরফে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বাস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বাসে ওঠেননি চিকিৎসকরা। বদলে নিজেদের বুক করা বাসেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন। ২ স্টেনোগ্রাফারকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। এদিনের বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী চলছে বৈঠকের বিবরণী লেখার কাজ।
2. সিবিআই হেফাজতে থাকা টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে কলকাতা পুলিশ। সোমবার অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যান অ্য়াডিশনাল সিপি, ডিসি ইস্ট, এসিপি-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। দায়িত্বে কোনও গাফিলতি করেননি টালা থানার ওসি, এদিন এমনটাই দাবি করেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। অপসারিত ওসির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বেরনোর পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) বলেন, “কলকাতা পুলিশ সঙ্গে আছে। এই পরিস্থিতিতে সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা।” টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে ওঠা দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, “একটা স্পর্শকাতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক-সহ যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মত নিয়ে কাজ হয়েছে। এটাই ওঁর কাজ। উনি সেই কাজ ভালো করেই করেছেন।” তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিক। এদিকে, অভিজিতের গ্রেপ্তারি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রীও। দায়িত্ব পালনের পরও কেন গ্রেপ্তার করা হল তাঁর স্বামীকে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।