জেল থেকে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থই, দাবি তদন্তকারীদের।ফের অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই হানা। কেষ্ট-কন্যাকে জেরার পর ভারত সেবাশ্রমে সিবিআই। বিধানসভায় শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্পিকার। গণ্ডগোলের জেরে দুষলেন তৃণমূলকে। দুর্গাপুজোয় মিলবে বাড়তি পরিষেবা। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত ভোর চারটেয় পাওয়া যাবে শেষ মেট্রো।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি’, বিজেপিকে কড়া আক্রমণ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিল সিবিআই। অসুস্থতার অজুহাতে এদিন ফের জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন সওয়াল-জবাবের সময় আবারও কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “নিয়োগের দায়িত্বে স্বশাসিত একটি সংস্থা। আমি তাতে ছিলাম না। তাই নিয়োগে আমার কোনও হাত নেই। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি যতদিন দায়িত্বে ছিলাম, কর্তব্যে গাফিলতি করিনি।” কিন্তু সিবিআই-এর আরজি মেনেই ইডি হেফাজতে থাকা পার্থকে এবার ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
শুক্রবার সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। একই সঙ্গে আদালতে তোলা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও। এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে রয়েছেন মোট ৫ জন। চারজন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার আরজি জানান তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
2. ফের অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। শুক্রবার বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অনুব্রতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করলেন আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পর, ১৭ আগস্ট সুকন্যাকে জেরা করার উদ্যোগ নিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেসময় সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজি হননি সুকন্যা। তবে এদিন প্রায় একঘণ্টা দশ মিনিট ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পোস্ট অফিসে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন বীরভূমের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওই তালিকায় রয়েছে বোলপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মুলুক শাখাও। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ‘নামে ও বেনামে’ থাকা জমিজমার সূত্রে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একটি দেড় বিঘা জমি সিবিআইয়ের নজরে আসে। জানা গিয়েছে, ওই জমি এমন একটি সংস্থার নামে হস্তান্তরিত হয়েছে, যার অন্যতম ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার। মনে করা হচ্ছে, হস্তান্তরিত হওয়া সেই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতেই ভারত সেবাশ্রমে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।