আপাতত বেতন ফেরত নয়। গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা কর্মীদের মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের। বহাল চাকরি বাতিল-সহ অন্য সব নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ, কল্যাণময়রা। মেদিনীপুর-পুরুলিয়ার সভা থেকে ফের জনসংযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে আশ্বাস ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের। দুয়ারে চিকিৎসা পৌঁছোনোরও বার্তা মমতার। প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। শোকপ্রকাশ ফুটবল মহলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিবিসির দুই অফিসে আয়কর ‘হানা’, বিরোধীদের তোপ কেন্দ্রকে
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা কর্মীদের বেতন ফেরাতে হবে না এখনই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশিকার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে এসএসসির গ্রুপ ডি-র ১ হাজার ৯১১ জন কর্মীর চাকরি গিয়েছে। ‘অযোগ্য’ কর্মীদের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই কর্মীরা। তাঁদের সওয়াল, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রম দিয়েছেন, তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁদের বেতন ফেরাতে হবে না বলে এবার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বেতন ফেরানোর নির্দেশের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি হলেও সিঙ্গল বেঞ্চের অন্য কোনও রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। ফলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে এসএসসির কাউন্সেলিং চলবে বলেই জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
2. শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি। তীব্র ভর্ৎসনার মুখে সিবিআইয়ের আইনজীবী। তবে এদিনও জামিন মিলল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকি ধৃতদের। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সাতজন। আগামী ২ মার্চ আবার আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাতজনকে জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবীর সওয়াল, তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তার অগ্রগতি বিষয়ে হাই কোর্ট আর কিছু জানায়নি। তাহলে কেন অভিযুক্তদের আটকে রাখা হচ্ছে? এরপরই সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, চার্জশিটে লেখা হয়েছিল বাকি অভিযুক্ত এবং প্রার্থীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। তারা কোথায়? তিনি আরও বলেন, “আমি ৭ ডিসেম্বর কাজে যোগ দিয়েছি। আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি। অনেকদিন হয়েছে। অভিযুক্তদের কিছু অধিকার রয়েছে। অনির্দিষ্টকাল তো তদন্ত চলছে বলা যায় না।” পালটা সিবিআই-এর তরফে দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেই সময় লাগছে। কেবল বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা এখন একাধিক শাখায় ছড়িয়ে গিয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই সেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার বলে সাফ দাবি সিবিআই-এর। এরপরই অভিযুক্তদের জামিনের আরজি খারিজ করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।