যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে গ্রেপ্তার আরও ৬। নির্দেশ ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের। দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল ক্যাম্পাস, হেনস্তার অভিযোগ যুবনেত্রী রাজন্যাকে। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে জরুরি বৈঠক রাজ্যপাল আনন্দ বোসের। ব্যবহার করা যাবে না দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শব্দ। মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বক্তব্যেও নিষেধ। আইনি ভাষার ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পর অসুস্থ সূর্যকান্ত মিশ্র।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘যাদবপুরের ছেলেটাকে মেরেছে মার্কসবাদীরা’, বামেদের নিশানা মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জারি ধরপাকড়। প্রথমে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পর এবার পুলিশের জালে আরও তিন প্রাক্তনী ও তিন ছাত্র। সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, আগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁদের জেরা করেই নতুন ছ’জনের নাম উঠে এসেছে। ধৃত ছ’জনের মধ্যে তিন প্রাক্তনী ঘটনার পর হস্টেল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তাঁদের সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনে করা হচ্ছে, ছাত্রমৃত্যু নিয়ে পুলিশের কাছে কী বয়ান দিতে হবে, তা শেখাতে কমপক্ষে ৪ বার জেনারেল বডি মিটিং হয় ছাত্রদের। সে কারণেই পুলিশ দফায় দফায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাদের প্রায় সিংহভাগের বয়ান একইরকম বলে জানা গিয়েছে। বুধবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয় ধৃতদের। সকলকেই ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে ৯ ধৃতকে।
এদিকে এই ইস্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া নিয়ে এদিন দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল ক্যাম্পাস। অশান্তির মাঝেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সদস্য রাজন্যা হালদারের জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। হাতাহাতির মাঝেই জ্ঞান হারান তৃণমূল ছাত্রনেত্রী। এই ঘটনা নিয়ে এবার প্রতিবাদে সুর চড়ালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
2. যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এবার রানাঘাটে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। দলে ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা ও তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব মৃত ছাত্রের বাবা। এদিন যাদবপুর ক্যাম্পাসেও মিছিল করেন নদিয়ার বগুলার বাসিন্দারা। তবে ছাত্রের বাবার বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রাখছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃত ছাত্রের বাবা। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই যাদবপুর ইস্যুতে সুর চড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “সরকার ও দল পরিবারের পাশে আছে। যাদবপুরে নৈরাজ্য চলছে। হনুরাজ চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্যপালকেও একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন না, এই মর্মেই সরব হলেন ব্রাত্য বসু।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।