পশ্চিমবঙ্গে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফেরালেন এক মামলাকারী শিক্ষকের চাকরিও।বুধবারই বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে জেরা অনুব্রত-কন্যাকে। প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন তৃণমূল নেতার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও। জানাল সিবিআই। AIFF-কে সাসপেন্ড করল ফিফা। সংকটে অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামতে বাধা সুনীলদেরও। নিষেধাজ্ঞা কাটাতে উদ্যোগী ক্রীড়ামন্ত্রক।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 15 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদির তোপ, স্বপ্নের ভারতের কথা জানালেন মমতা
আরও শুনুন: 14 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- পাশে দাঁড়ালেন অনুব্রতর, ‘সেটিং’ নিয়ে বিরোধীদের জবাব মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে চাকরি হারিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষক। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়দানের আগে শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মন্তব্য,”পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেয়নি তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে।” বরখাস্ত হওয়া শিক্ষককে দ্রুত চাকরিতে ফেরানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিরাজ শেখ নামের ওই যুবক। কিন্তু মাত্র চার মাসের মধ্যে সার্ভিস বুক তৈরির সময় তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই সময় মুর্শিদাবাদ ডিপিএসসি জানিয়েছিল, প্রাথমিক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী সংরক্ষিত পদের জন্য স্নাতক স্তরে অনার্সে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকা নিয়ম। অথচ ৪৬ শতাংশ নম্বর থাকা সত্ত্বেও মামলাকারীর চাকরি বাতিল করা হয়। আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে তাঁকে পুনর্বহাল করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিল আদালত।
2. বুধবারই বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যার একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এমনকী, যৌথ সম্পত্তিও রয়েছে তাঁদের। ফলে গরু পাচার সংক্রান্ত কোনও লেনদেনে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, সুকন্যার সম্পত্তির উৎস, আয়ব্যয়ের হিসেবও জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। নেতার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের দাবি, অনুব্রত আয়করের নথি খতিয়ে দেখে বিস্তর অসংগতির হদিশ মিলেছে। মঙ্গলবার তদন্তে উঠে আসা একাধিক তথ্য নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। আবার আসানসোল জেলে হানা দিয়েও অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে জেরা করেছে সিবিআই-এর আরেকটি দল। মনে করা হচ্ছে, জোড়া জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার সুকন্যাকে জেরা করতে চলেছে সিবিআই।
এদিকে নিজাম প্যালেস থেকে অনুব্রতকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এদিন তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরেছিলেন একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি। গরু পাচার কাণ্ডে মেয়ের ভূমিকা কী, এমন প্রশ্নও উড়ে আসে তাঁর দিকে। কিন্তু রীতিমতো রাগ প্রকাশ করে অনুব্রত সাফ জানিয়ে দেন, ”কিচ্ছু বলব না। খুশি?” যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সপক্ষে মুখ খোলার পর থেকেই শরীরী ভাষায় বদল এসেছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।