রাজ্যের ভোটপ্রচারে মোদির অস্ত্র রোহিঙ্গা ইস্যু। রামনবমীর মিছিলে অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর। পালটা জবাব তৃণমূলের। ভোটের প্রচারে রনংদেহী মুখ্যমন্ত্রী। ময়নাগুড়ি থেকে ‘চোর’ স্লোগানের পালটা মমতার। অভিষেকের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা। ওড়িশার দুর্ঘটনায় উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে সাফল্য।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের ভোটপ্রচারে মোদির অস্ত্র রোহিঙ্গা ইস্যু। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, “বাংলার যে সব ভাইবোন বিভাজনের শিকার, দেশভাগের শিকার, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করে তৃণমূল। অথচ, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলার জনবিন্যাস এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার অনুমতি দিয়ে রেখেছে। এরা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।” যদিও মোদির এই অভিযোগের পর বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রায়গঞ্জের আগে বালুরঘাটেও এদিন সভা করেছেন মোদি। সেখানে রামনবমী পালনের প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় রামনবমী পালন আটকানোর সবরকম চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। সব ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু জয় সত্যেরই হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কোর্টের অনুমতি মিলেছে। কাল এখানেও ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে রামনবমী পালিত হবে।” যার পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। দলের তরফে বলা হয়েছে, “হয় বিজেপি কিছু জানে না, নয়তো প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। কে শোভাযাত্রা আটকেছে?” জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফেও রামনবমীর শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। অন্যদিকে বালুরঘাটের সভায় গত বছরের এক ঘটনা নিয়েও সরব হন মোদি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আদিবাসী মহিলাদের হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে গর্জে ওঠেন নমো। তাঁর সাফ দাবি, আদিবাসী মহিলারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওরা হেনস্তা করেছিল। এবারের ভোট বুঝিয়ে দেবে আদিবাসীরা তৃণমূলের দলদাস নয়।
2. ভোটপ্রচারে রণংদেহী মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনকয়েক আগে ডুয়ার্সে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান তুলেছিল একদল। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সভা থেকে সেই ইস্যুতেই সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার গাড়ি দেখে ওরা চোর বলছে। আমি কারও পিতৃদেবের টাকায় এক কাপ চা-ও খাইনি। চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন, পেনশন নিতে পারতাম। নিই না। কারণ আমার দরকার নেই। আমার দরকার মানুষকে।” একইসঙ্গে এদিন মোদি-শাহ কেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের সরব হন ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গেও। তাঁর দাবি, বিজেপি বুঝে গিয়েছে জিততে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রথম দফা ভোটের আগে আরও একবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরের হুঁশিয়ারি দিতেই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।