সোমবার থেকে সরকারি স্কুল ,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ছুটির আরজি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও। পুলিশের সামনেই খুন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই। যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখে স্তম্ভিত মমতা। আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। তপসিয়া থেকে গ্রেপ্তার বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার। উদ্ধার ১০ লক্ষ টাকা ও একটি মোবাইল। ১৫ বছরের খরা কাটিয়ে নাইট জার্সিতে সেঞ্চুরি। বল হাতে আইপিএল-এ অভিষেক শচীনপুত্র অর্জুনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় বেঁধে দিলেন ৩৫ আসনের টার্গেট, তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক শাহর
বিস্তারিত খবর:
1. প্রচণ্ড গরমের দরুণ সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শনিবার ইদের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পুরো সপ্তাহটাই ছুটি থাকছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই ছুটি দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার থেকে আরও কয়েকদিন রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহ চলবে। বাড়বে গরমও। যার জেরে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই বিপদ এড়াতে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে মানবিক সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমাকে কয়েকজন পড়ুয়া জানিয়েছে গরমে স্কুলে গেলে মাথাব্যথা করছে। মাথাব্যথা হিট স্ট্রোকের লক্ষ্মণ। এমন অবস্থায় কী করে অমানবিক হব!” আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত চার-পাঁচদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এমন পরিস্থিতিতে ১১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরনো ও প্রচুর জলপানের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে স্কুল ছুটি নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ বলছে, এত ছুটি দিলে পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করতে সমস্যা হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাস করে, পরে সিলেবাস শেষ করে দিতে হবে। স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাসের কথাও ভাবছে কোনও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
2. গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইকে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। শনিবার সাংবাদিকের বেশে ক্যামেরার সামনে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা টপকে দুই ভাইয়ের উপর গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছে। সেই তালিকায় এবার যোগ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার একটি টুইটে তিনি লেখেন, “উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এই নৈরাজ্যের পরিস্থিতি দেখে আমি স্তম্ভিত! অপরাধীরা পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। যা চূড়ান্ত লজ্জার। আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এ ধরনের বেআইনি কাজের কোনও স্থান নেই।” একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে কাছে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তাঁর দাবি, “পুলিশি হেফাজতের মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। গোটা রাজ্যের সব জেলায় ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে?” তৃণমূল একা নয়, গোটা বিরোধী শিবির গ্যাংস্টার আতিকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব। সাংসদ কপিল সিব্বলের মতে, “এদিনের ঘটনায় মোট তিনটি মৃত্যু হয়েছে। আতিক, আসিফের পাশাপাশি প্রয়াত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলাও।” তবে আপাতত এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এদিকে, প্রয়াগরাজের ঘটনার পর সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নয়া SOP (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর)। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিষয়টি তদারকি করবেন বলেই খবর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।