ইলেক্টোরাল বন্ডে সর্বোচ্চ আয় বিজেপির। কেন্দ্রীয় হানার পরই কি অনুদান, উঠছে প্রশ্ন। বন্ডের তথ্যে আরও স্বচ্ছতা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত স্থিতিশীল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে গিয়ে দেখলেন ৩ চিকিৎসক। সুস্থতা কামনার জন্য মোদি-রাহুলকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর। শনিবারই লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণা। প্রথমবার গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটল যাত্রীবাহী মেট্রো। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ অর্জুন সিং-এর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী, ভর্তি করানো হল এসএসকেএম হাসপাতালে
বিস্তারিত খবর:
1. সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে বিজেপির। বন্ড থেকে রাজনৈতিক দলগুলি মোট যা আয় করেছে তার প্রায় ৪৭ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির দখলে। টাকার অঙ্কটা প্রায় ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ড থেকে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। কংগ্রেসের নির্বাচনী বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ড তথ্য প্রকাশ্যে এলে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে, সেই আশঙ্কা অনেকেই করেছিলেন। বাস্তবে তাই হয়েছে বলা যায়। কমিশনের দেওয়া তথ্যে, এমন কিছু সংস্থার নাম রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি। আবার এও দেখা গিয়েছে, এমন কিছু কিছু সংস্থা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়েছে, যারা বড় বড় সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে। অনুদানের নিরিখে সবার উপরে রয়েছে বিতর্কিত লটারি ব্যবসায়ী মার্টিন স্যান্টিয়াগোর সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। তারা কিনেছে মোট ১,৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া প্রথম ৩০টি সংস্থার মধ্যে ১৪টিতেই গত কয়েক বছরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই, ইডি কিংবা আয়কর দপ্তর। এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কার্যত ‘ভারচুয়াল মাফিয়ারাজ’ চালিয়েছে বিজেপি। তবে স্টেট ব্যাঙ্কের দেওয়া নির্বাচনী বন্ডের তথ্য এখনও অসম্পূর্ণ বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত। এই নিয়ে ফের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে তুলোধোনা করে আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে পুরো তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
2. আপাতত স্থিতিশীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আসেন ৩ চিকিৎসক। এদিন সকালে একবার চিকিৎসকরা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করেন। তখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। রাতে ঘুমও হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরে সন্ধের দিকে তাঁরা ফের যান কালীঘাটের বাড়িতে। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হন তাঁরা। জানান, কপালের ক্ষতস্থানে যে স্টিচ পড়েছিল, সেখানে যন্ত্রণা কমেছে। তাঁর রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন সব স্বাভাবিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে নিয়মিত। তিনদিন পর সম্ভবত স্টিচ কাটা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখে আসেন ফিরহাদ হাকিম, উজ্জ্বল বিশ্বাস। এদিকে, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদিও, ‘মমতা দিদি’-র সুস্থতা কামনায় টুইট করেন। তালিকায় ছিলেন রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। শুক্রবার সকালে টুইটে তাঁদের প্রত্যককে ধন্যবাদ জানান মমতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।