নওশাদের সঙ্গে হাত মেলাতেও রাজি। ভাঙড় ইস্যুতে মুখ খুলে বার্তা শুভেন্দুর। ‘নো ভোট টু মমতা’ বলুন আইএসএফ বিধায়ক, আহবান বিরোধী দলনেতার। বিচারব্যবস্থাকে অপমান করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগে সরব সৌমিত্র খাঁ। সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে চিঠি লোকসভার স্পিকারকে।রাতের অন্ধকারে পুড়ল বিজেপি কর্মীদের ঘর। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ভরসা কেন্দ্রীয় বাহিনীই। বাংলাকে শান্ত করার আশ্বাস মিলল খোদ শাহের কাছ থেকে। দিল্লি থেকে ফিরেই জানালেন সুকান্ত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- চাঁদে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩, মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য ভারতের
বিস্তারিত খবর:
1. প্রয়োজনে হাত মেলাতে রাজি নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গেও। ভোট পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে তার আগে নওশাদকে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলতে হবে, দাবি শুভেন্দুর।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী অশান্তিতে যে জায়গাগুলি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে, সেইসব জায়গায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। শনিবার হাওড়ার আমতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে তিনি যান আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে। অভিযোগ, দুই জেলাতেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলা চলছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার পুরুষ ও মহিলা মিলে প্রায় ১১৭ জন ঘরছাড়া এখন আশ্রয় নিয়েছেন বারুইপুর পূর্ব জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভোট হিংসা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। ভোট পরিস্থিতি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুট-সহ একাধিক কড়া অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। কেন তিনি অশান্ত ভাঙড়ে যাচ্ছেন না? এই ইস্যুতে তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে শুভেন্দু বলেন, ”ভাঙড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে যাব নিশ্চয়ই। তার আগে তো নওশাদ সাহেবদের দরজা খুলতে হবে। তাঁরা তো নিজেদের সম্প্রদায়কে ভুল বোঝাচ্ছেন যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। ওসব ছেড়ে ওঁদের বলতে হবে – নো ভোট টু মমতা। আমরা সেটাই করতে এসেছি। হিন্দু-মুসলমান করতে আসিনি।” রাজনৈতিক মহলের একাংশে জল্পনা রয়েছে, আইএসএফের উত্থান আসলে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে। তবে কি মমতা-বিরোধী যে কোনও দলকেই কাছে টানতে রাজি বিজেপি, শুভেন্দুর মন্তব্যে উসকে উঠল সেই জল্পনাই।
2. SSKM হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ তুলে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক, এই দাবিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে বাংলায়। এমনকি ফলপ্রকাশের পরেও রাজ্যের একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় অশান্তি অব্যাহত। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত অনেকে। শুক্রবার আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপির প্রতি খড়গহস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার একাংশ নিয়ে যথেষ্ট উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, হিংসায় অভিযুক্তদের ‘হাই কোর্টের সুরক্ষাকবচ’ রয়েছে বলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। চ্যালেঞ্জের সুরে তাঁর বক্তব্য, ”বিজেপিকে হৃষ্টপুষ্ট করতে বিচারপতিদের একাংশ কাজ করছেন। এসব বলছি বলে দরকার হলে আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করুন।” তার ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই সংবিধানের অপমানের অভিযোগ তুলে অভিষেককে নিশানা সৌমিত্র খাঁ-র। তবে আদালতকে অপমানের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সৌমিত্রর অভিযোগের পালটা দিয়ে অভিষেকের পাশে দাঁড়ালেন কুণাল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।