স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব প্রধানমন্ত্রী। দেশের ক্ষতি করছে ‘ভাই-ভাতিজাতন্ত্র’। ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন মুখ্যমন্ত্রীর। টুইটারে জানালেন স্বপ্নের ভারতের কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়ে খুশি অনুব্রত। ‘জানতাম দিদি পাশে থাকবেন’ আইনজীবী মারফত বার্তা নেতার। ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক নেতাজির চিতাভস্ম। ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে আবেদন সুভাষ-কন্যা অনীতার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- পাশে দাঁড়ালেন অনুব্রতর, ‘সেটিং’ নিয়ে বিরোধীদের জবাব মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষণ নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনৈতিক কর্মসূচির মঞ্চ থেকেও এ নিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এদিনের ভাষণেও দেশের মূল সমস্যা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি দুটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষপণের কারণে দেশের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে দেশ দু’টি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই সচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত করতে হবে।” তাঁর সাফ কথা কথায়, “ভাই-ভাতিজাতন্ত্রে দেশের মঙ্গল হয় না।” দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, “দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন তাই প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।” ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে পাঁচ সংকল্পের কথাও উল্লেখ করেন মোদি। বিকশিত ভারত, দাসত্ব থেকে মুক্তি, উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব, ঐক্য এবং নাগরিক কর্তব্যের কথা বলেন তিনি। আগামী ২৫ বছর এই পাঁচ ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে স্বজনপোষণহীন ও দুর্নীতিমুক্ত ভারতই যে তাঁর কাম্য, এদিনের ভাষণে তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
2. ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে হয় পুষ্পবৃষ্টি। এদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রেড রোডের কুচকাওয়াজে একাধিক ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়। ছিল দুর্গাপুজোর ট্যাবলো-ও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ট্যাবলোর পাশাপাশি শিল্পের বার্তা দিয়ে ‘এসো শিল্প গড়ি’ ট্যাবলো প্রদর্শিত হয় রেড রোডে। জঙ্গলমহলের আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। করোনাকালে বাংলার বহু কৃতী মানুষের প্রয়াণ হয়েছে। তাঁদের স্মরণ করেও একটি ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছে এদিনের অনুষ্ঠানে। এদিনে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পুলিশ আধিকারিকদের হাতে পদকও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রথামাফিক রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে চা-চক্রে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি এদিন টুইট করে নিজের স্বপ্নের ভারতবর্ষের কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ভারতবর্ষে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না, যেখানে শিশুরা পাবে শিক্ষার আলো- এমন ভারতেরই স্বপ্ন দেখেন। দমনমূলক শক্তি যেখানে বিভাজনের খাঁড়া নামিয়ে আনে না, সাম্য ও ঐক্য বিঘ্নিত করে না- সেই ভারতবর্ষই তাঁর স্বপ্নের বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।