রামনবমীতে অশান্তির আশঙ্কা। রাজ্যবাসীকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। শ্রীরামপুর-হাওড়ায়, শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি হাই কোর্টের। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী। কপ্টার তল্লাশিতে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি অভিষেকের। জলপাইগুড়ির দুর্যোগে রাজনৈতিক তরজা। বিচারব্যবস্থা দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। সুপ্রিম বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে চিঠি ২১ প্রাক্তন বিচারপতির। নির্বাচনের সময়ে জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটের মুখে রামনবমী। অশান্তির আশঙ্কায় রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহার থেকে তিনি বলেন,”প্ররোচনায় পা দেবেন না।” পাশাপাশি পুরনো কিছু হিংসার প্রসঙ্গ টেনে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে সরাসরি বিজেপিকে তোপও দেগেছেন মমতা। এর আগে পুরুলিয়ার প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোকে শান্তিমিছিল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রামনবমীর ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগেও কোচবিহারের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকেও একই সতর্কবার্তা জারি করলেন মমতা। এদিকে, হুগলির শ্রীরামপুরের পর হাওড়াতেও রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে মিছিলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি স্পষ্ট জানান, ২০০ লোকের বেশি শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশকে মিছিল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে না পারলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে রাজ্য। এছাড়া মিছিল থেকে উসকানিমূলক কোনও কথা বলা যাবে না। ব্যবহার করা যাবে না কোনও অস্ত্র কিংবা ডিজে। এইসব শর্ত মেনেই রামনবমীতে করতে হবে মিছিল।
2. নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে কেন নিশানায় বিজেপি, এবার এই প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, “নির্বাচনী বন্ড থেকে আয়ের ৬৩ শতাংশই গিয়েছে বিরোধী দলগুলোর কাছে। ৩৭ শতাংশ অর্থ পেয়েছে বিজেপি।” মোদির কথায়, “নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আগামী দিনে আরও আলোচনা করা যেতে পারত। কিন্তু বিরোধীরা এই বন্ড নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।” মোদি আরও বলেন, “যদি নির্বাচনী বন্ড না থাকত তাহলে কি জানা যেত কোথা থেকে টাকা এসেছে আর কোথায়ই বা গিয়েছে? এটাই ইলেকটোরাল বন্ডের সাফল্য। বন্ড আছে বলেই আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলছে।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, নির্বাচনী বন্ড একেবারে নিখুঁত নয়। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই উন্নতি করা হয়। নির্বাচনী বন্ডের ক্ষেত্রেও সেটা হতেই পারত বলে দাবি মোদির। সুপ্রিম কোর্টের রায় দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন, নির্বাচনী বন্ড বাতিল নিয়ে একদিন সকলে আফসোস করবেন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।