যুদ্ধের আবহেও জারি অস্ত্রের জোগান। ভারতকে দ্বিতীয় এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পাঠাচ্ছে রাশিয়া। চিনকে হুঁশিয়ারি রাজনাথ সিং-এর। পরোক্ষে বার্তা দিলেন আমেরিকাকেও। নারী নির্যাতন রুখতে নয়া উদ্যোগ। কলকাতা পুলিশের পথেই হাঁটল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। গড়ে উঠল ‘উইনার্স’ টিম। কৃত্রিম প্রজননবিদ্যার প্রখ্যাত চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী প্রয়াত। নববর্ষের সকালে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি। টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলার মানুষের মঙ্গলকামনায় কালীঘাটে পুজো মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও থমকে নেই অস্ত্র আমদানি। এবার ভারতকে দ্বিতীয় এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পাঠানোর কাজ শুরু করল রাশিয়া। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার হুমকি উড়িয়ে রুশ তেল কেনার ‘উপহার’ স্বরূপ নয়াদিল্লিকে দ্রুত এই অত্যাধুনিক ও বিতর্কিত অস্ত্র পাঠাচ্ছে মস্কো।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠানোর কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবে একটি মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারতীয় ফৌজ। এবার এপ্রিল অর্থাৎ চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় এস-৪০০ সিস্টেম ভারত পৌঁছে যাবে। এবং ২০২৩ সালের মধ্যেই চুক্তি মোতাবেক এই অত্যাধুনিক পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয় সেনার হাতে চলে আসবে। ফলে মনে করা হচ্ছে, চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে দেশের মিসাইল প্রতিরক্ষা আরও মজবুত করে তুলতে সক্ষম হবে সেনাবাহিনী।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সময়মতো এস-৪০০ সিস্টেম পাঠাতে পারবে কি না রাশিয়া, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তারপরই জানা যায় যে সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে ভারত। কিন্তু এবার সেই সংশয় দূর করল বন্ধু ‘মস্কো’।
উল্লেখ্য, ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। প্রথম থেকেই এই চুক্তিকে ভাল চোখে দেখেনি আমেরিকা। ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উচিত। কিন্তু নিজের অবস্থানে এখনও অনড় রয়েছে নয়াদিল্লি।
2. আমেরিকায় দাঁড়িয়ে চিনকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার সানফ্রান্সিস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনার সাহসিকতা প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, “একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যে চিনের কাছে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে। ভারতের ক্ষতি করতে চাইলে কেউ ছাড় পাবে না।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, চিন ইস্যুতে আমেরিকাও বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই আমেরিকায় দাঁড়িয়ে চিনকে রাজনাথের দেওয়া এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে শুধু চিন নয়, এদিন পরোক্ষে আমেরিকাকেও বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তাঁর সাফ কথা, “ভারতের একটা দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আছে মানেই আরেকটা দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে, সেটা হতে পারে না। ভারত কখনও এই ধরনের কূটনীতিতে বিশ্বাস করেনি, আগামী দিনেও করবে না।” স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের সেরা তিন অর্থনীতির মধ্যে একটি হতে চলেছে। বিশ্বের কোনও শক্তি দেশকে আটকাতে পারবে না বলেও মত প্রকাশ করলেন তিনি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এদিন হুঁশিয়ারির সুরেই বলে দিলেন,”ভারত সম্পর্কে গোটা বিশ্বের ধারণা বদলে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। কোনও শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।