ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা বিপ্লব দেবের। নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন মাণিক সাহা। জিটিএ নির্বাচন নয়, চাই পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং-এর। দিল্লির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ কেজরিওয়ালের। লাফিয়ে বাড়ছে গমের দাম। দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এবার গম রপ্তানিতে দাঁড়ি টানল ভারত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আদালতের
আরও শুনুন: 11 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালেই আইনি পদক্ষেপ, কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
১. ত্রিপুরার আচমকাই রাজনৈতিক পালাবদল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব। এদিন দুপুরেই রাজ্যপালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মাণিক সাহা। পরিষদীয় বৈঠকে তাঁর নামেই সিলমোহর দিইয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই ত্রিপুরায় বিপ্লবের ‘অপসারণে’র প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওইদিনই অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ইস্তফার পর বিপ্লব জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মার্গদর্শন অনুযায়ীই কাজ করেছেন। তবে এবার দল তাঁকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চায়। তবে ঠিক কী কারণে এই ইস্তফা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি বিপ্লব। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বিপ্লবের ইস্তফার নেপথ্যে রয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাঁদের মতে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জমা হচ্ছিল, যার ফলে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরাগভাজন হইয়েছিলেন। তাছাড়া, প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিপ্লবের সরকার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল। সম্ভবত সেকারণেই বিধানসভা ভোটের আগে মুখবদল করল গেরুয়া শিবির। বিপ্লবের পরবর্তীতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হল মানিক সাহাকে। তবে নাম ঘোষণার পরেই প্রকাশ্যে চলে আসে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ত্রিপুরার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
২. জিটিএ নির্বাচন এখনই নয়, আগে চাই পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। এই দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। শনিবার চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জিটিএ চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে হবে। তারপরই হতে পারে জিটিএ-র নির্বাচন। এদিন দার্জিলিংয়ে এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুরুং হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, জোর করে জিটিএ নির্বাচন করানো হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জুন মাস নাগাদ জিটিএ নির্বাচন হবে পাহাড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা। শনিবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন পাহাড়ের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি গুরুংয়ের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে জোট রয়েছে মোর্চার। এখনই নির্বাচনের পথে হাঁটার দরকার নেই। বরং জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী সব দাবি পূরণ করুক রাজ্য সরকার। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক। প্রয়োজনে সরকার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে আলোচনা করুক। তার জন্য তিনি নিজে কলকাতায় আসতে প্রস্তুত। এসবের পরই নির্বাচনের কথা ভাবা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং বলেছেন, “ওটা মোর্চা দলের সিদ্ধান্ত আমার তেমন কিছু বলার নেই। ওরা জিটিএ চায়, না স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চায়, তা কলকাতায় জানিয়েছে। তাই কলকাতার নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।” বিমলের নয়া দাবিতে পাহাড়ের রাজনীতি নতুন মোড় নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।