সংসদে লাগাম ‘অসংসদীয়’ শব্দে। একাধিক শব্দ ব্যবহারের উপর জারি নিষেধাজ্ঞা। অভিযোগে সরব বিরোধীরা। অশোকস্তম্ভের বিকৃতি নিয়ে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দেশের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ’, দাবি অভিষেকের। প্রাইমারি টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পদক্ষেপ হাই কোর্টের। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তলব CBI-এর কাছে। রাজ্যে বাড়ছে করোনা। একদিনে সংক্রমিত ৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫ জনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 13 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ কেন্দ্রের
বিস্তারিত খবর:
1. বাদল অধিবেশনের আগে একগুচ্ছ শব্দকে ‘অসংসদীয়’ বলে চিহ্নিত করল লোকসভার সচিবালয়। এই শব্দগুলি ব্যবহারে জারি হল ফতোয়াও। লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন এই শব্দগুলি আর উচ্চারণ করতে পারবেন না সাংসদরা। এই তালিকায় রয়েছে ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’র মতো একাধিক শব্দ। এই ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এবার একযোগে সরব হল বিরোধীরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “এই ঘটনা একনায়কতন্ত্রের চূড়ান্ত। ওরা ঠিক করে দেবে আমরা কী বলব, কী খাব, কীভাবে পুজো করব। সবরকম নিদান দিচ্ছে বিজেপি সরকার। ওরাই যদি সব ঠিক করে দেয়, তাহলে আর নির্বাচন করে লাভ কী! তাহলে সংসদ ভবন রেখেই বা লাভ কী!” ‘বিজেপি গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে’ বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও। কেন্দ্রের নির্দেশিকাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্ররা। কেন্দ্রকে বিঁধে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যদিও বিরোধীরা অহেতুক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বলে পালটা তোপ দেগেছে কেন্দ্রও। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার দাবি, কোনও শব্দকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি।
2. অশোকস্তম্ভের সিংহের ‘বিকৃতি’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বিজেপি তো সব বদলে দিচ্ছে। নাম-প্রতীক, সবকিছুতেই বদল আনছে। কিন্তু দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে না। দেশে জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ অবস্থা।” বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগলেন অভিষেক।
শহর জুড়ে শুরু হয়েছে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি। অন্যান্য জেলা থেকে আসা কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। সেই ক্যাম্পের পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়েই এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একদফা বৈঠক সারেন অভিষেক। এরপর সেখান থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ। জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধনে বিরোধী দলের কোনও প্রতিনিধি, এমনকি রাষ্ট্রপতিকেও আমন্ত্রণ না জানানোর কড়া বিরোধিতা করেন অভিষেক। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি থেকে অশোকস্তম্ভের সিংহের ‘বিকৃতি’ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়েও কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।